বার্তা ডেস্ক ॥ পটুয়াখালীতে পূর্ব বিরোধের জেরধরে সহকর্মী মো. জহিরুলকে (২৭) ধারোলো দা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে শ্রমিক মো. কাওসার (২৫)। এসময় বাধা দিতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছে একই পিকআপে থাকা অপর দুই সহকর্মী শ্রমিক সাইফুল (২৩) ও সাকিব (২০)।
তাদেরকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক কাওসারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল ৮ টায় পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের বসাক বাজার কহিনুর অটো রাইসমিলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জহিরুল পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের শারিকখালী গ্রামের জাকির আকনের ছেলে।
নিহতের স্বজন হাসপাতাল ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত জহিরুল, আহত দুজন ও ঘাতক কাওসারসহ ৭ জন পল্লী বিদ্যুৎ-এর পিকআপ ভ্যানে করে সকালে গলাচিপার বদুরা বাজারে দিকে যাচ্ছিলো লাইনের উপর ঝুলে পড়া গাছের ডালপালা কাটতে। পথে জহিরুলের সাথে তর্ক-বিতর্ক হয় কাওসারের। এক পর্যায়ে গাছের ডাল কাটার জন্য আনা দা দিয়ে জহিরুলের বামপাশের কানের নীচে ঘাঢ়ে আঘাত করে কাওসার। এসময় থামাতে গিয়ে কাওসারের হাতে থাকা দায়ের আঘাতে গুরুতর জখম হন অপর দুই সহকর্মী সাইফুল ও সাকিব।
তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকাল নয়টায় চিকিৎসার জন্য আনা হয়। জরুরী বিভাগ থেকে ওয়ার্ডে নেয়ার পথে জহিরুলের মৃত্যু হয়। অপর দুই আহতকে তাৎক্ষনিক ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল রেফার করা হয়।
গ্রেপ্তার ঘাতক কাওসারের দাবি নিহত জহিরুল প্রায়ই তাকে বিরক্ত করতো। হামলার কথাও স্বীকার করেন কওসার।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার জানান, ঘাড়ের বাম পাশে গুরুতর জখম নিয়ে আসার পর ওয়ার্ডে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় জহিরুলের।
এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানায়, পল্লী বিদ্যুতের লাইন পরিস্তার রাখার জন্য গাছের ডাল কাটার শ্রমিক হিসাবে কাজ করা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা। পিকাপে বসে তর্কের এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার তুষার কান্তি মন্ডল জানান, নিহত জহিরুলসহ পিকাপে থাকা ৭ জন গাছের ডাল কাটার জন্য বাদুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে তাদের মধ্যে তর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনকে অবিহিত করা হয়। এরা দৈনিক মজুরিতে পল্লী বিদ্যুতের লাইনের গাছ অপসারনের কাজে নিয়েজিত ছিল।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসিম জানান, নিজেদের মধ্যে তর্কের জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটে। ঘাতক কাওমসারকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।