ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিব) সম্মেলনে দুই পক্ষে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এর একাংশে ছিল সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত অনুসারী এবং অপরাংশের ছিল সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারী চিকিৎসকেরা।
রোববার বরিশাল ক্লাবে সম্মেলনের একপর্যায়ে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে প্রকাশ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। তাতে সম্মেলনের কার্যক্রম ব্যাহত হলে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল ক্লাবে স্বাচিবের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. মো. কামরুল হাসানের উপস্থিতিতে সম্মেলন শুরু হয়।
বিকেল ৩টার দিকে মেয়র খোকন এবং সাবেক মেয়র সাদিক অনুসারীরা একই পাশে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকে। সাদিক অনুসারীরা কমলা রঙের গেঞ্জি এবং খোকন অনুসারীরা সাধারণ পোশাকে অবস্থান করছিলেন।
এ নিয়ে দুই পক্ষে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় একে অপরকে চর থাপ্পড় এবং ঘুষি দিতে থাকে। পরিস্থিতি বেগতিক হলে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় নেতারা গিয়ে দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় সম্মেলনের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। এতে ক্ষুব্ধ হন কেন্দ্রীয় নেতারা।
স্বাচিবের নতুন কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাবেক মেয়র সাদিক অনুসারী ডা. মাসরেফুল ইসলাম সৈকত বলেন, দুই গ্রুপ এক পাশে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেওয়ায় বিশৃঙ্খলা হচ্ছিল। পরে সিনিয়রদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি দাবি করেন এখানে রাজনৈতিক কোনো বলয় নেই। হাতাহাতিও হয়নি। আইএইচটি এর শিক্ষার্থীরা সম্মেলনের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল কি না তা পুলিশ বলতে পারবে।
ডা. সৈকত আরও বলেন, সম্মেনে শেষে নেতারা আগামী ৭ দিনের মধ্যে সিভি এবং রাজনৈতিক পরিচয় পাঠানোর নির্দেশ দেন। কমিটি কেন্দ্র করে দেবে। সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী ৩ জন এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ৯ জন দাঁড়িয়েছেন।
তবে মেয়র খোকন অনুসারী স্বাচিবের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডা. এস এম সায়েম বলেন, সাদিকের অনুসারী সৈকতের লোকজন সম্মেলন বানচাল করতে চেয়েছিল। তারা আইএইচটিএ এর ছাত্র এনে হাঙ্গামা করিয়েছে। এরা কমলা রঙের গেঞ্জি পড়ে ছিল। ২৭ বছর ধরে যিনি সভাপতি ছিলেন সেই ডা. কামরুল হাসান আবারও সভাপতি হতে চান। তারা বলেছেন পকেট কমিটি করা যাবে না। নতুন নেতৃত্ব দিতে হবে। নতুন কমিটি করার ক্ষেত্রে স্থানীয় মেয়র ও এমপির পরামর্শ নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন। ডা. সায়েম বলেন, সম্মেলনে সাবেক সভাপতি ডা. সেলিম ছাড়াও আর ২ জন সভাপতি প্রার্থী এবং ৯ জন সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন।