বরিশাল নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ তৌহিদুল ইসলামসহ দুইজনের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় আরেক আসামি হলেন মিয়া এরসাদুল ইসলাম জিয়া। বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। বিচারক গোলাম ফারুক শুনানী শেষে মামলাটি আমলে নিয়েছে। এসময় বিচারক বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী নাজমুল।
মামলার বাদী ও বিবাদীরা বরিশাল নগরীর আমবাগাম এলাকার বাসিন্দা।
মামলার তথ্যসূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে তৌহিদুলের কাছে ত্রিশ লাখ টাকার চেক জামানত রেখে ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর সমপরিমাণ টাকা (ত্রিশ লাখ) ঋণ নেয়। এ ঘটনার দুইদিন পর প্রায় একুশ লাখ টাকা ফেরত নেয় তৌহিদুল। বাকি প্রায় নয় লাখ টাকার সুদ ও আসলসহ আরও প্রায় বাইশ লাখ নেয় তৌহিদুল। এরপরও চুক্তির সাতবছর পর পুরানো চেক ও স্টাম্প দিয়ে ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে তৌহিদুল একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় মোস্তাফিজুর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তৌহিদুল তার দায়ের করা মামলার আসামি মোস্তাফিজুর ও আদালতকে ইঙ্গিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্টাটাস দেন। মিথ্যা বানোয়াট তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তি মানহানিকর মন্তব্য করেছে। তাই মোস্তাফিজুরের মানহানী হওয়ায় ভূক্তভোগী বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।