বার্তা ডেস্ক ॥ বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একদিনে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে; যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এসব রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের দেরি করে হাসপাতালে আনাই এসব মৃত্যুর বড় কারণ।
মৃতরা হলেন বরিশাল নগরীর কাউনিয়ার কাঞ্চন আলী (৬০), বরগুনার আমতলী উপজেলার নুরুল আমিন (৫৫), বরিশালের বাকেরগঞ্জের আনোয়ারা বেগম (৭০), বরিশাল নগরীর সাগরদীর বাসন্তী (৫৫), বানারীপাড়া উপজেলার রুশিয়া (৫৭), মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার মনোয়ারা (৫৫) এবং পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বারেক হাওলাদার (৮০)।
এদের মধ্যে ছয়জন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও একজন গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে বিভাগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৫ জনে।
ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, “কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খায়। চিকিৎসকের বাইরে বিভিন্নজনের পরামর্শ নেয়। যখন শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে তখন হাসপাতালে আসে। এ জন্য মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।”
তাই জ্বর হলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে এবং পরীক্ষা করতে পরামর্শ দেন তিনি।
এই চিকিৎসক বলেন, “আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এলে তো চিকিৎসকের পক্ষে একজন রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দিয়ে সবসময় সুস্থ করা সম্ভব হয় না।”
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকার বিষয়টিকে ‘খুব খারাপ অবস্থা’ বলে চিহ্নিত করলেন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে বিভাগের দুইটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ৬ জেলা সদরসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪১৮ জন ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন মোট রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ১৬০ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোয় ১৮ হাজার ১৮৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ হাজার ৯৬০ জন।