বরিশালের হিজলা উপজেলায় নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার একটি ক্লিনিকের সামনে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে।
হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হাওলাদার ও বড়জালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিরন হাওলাদারের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলার রেমিডি মেডিকেল সার্ভিসেস নামের ক্লিনিকে এক অন্তঃসত্ত্বা রোগীর অস্ত্রোপচারের জন্য রক্ত দিতে যান হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হাওলাদার অনুসারী মাসুদ সিকদার।
তিনি রক্ত দিয়ে বের হওয়ার পর বড়জালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিরন হাওলাদারের অনুসারী সোলায়মান, আলমগীর ও লোকমানের নেতৃত্বে ৬/৭ জন তার ওপর হামলা করেন। তারা বেধড়কভাবে মাসুদ সিকদারকে মারধর করেন। খবর পেয়ে এনায়েত হাওলাদারের অনুসারীরা সেখানে পৌছালে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়।
এক পর্যায় দুইগ্রুপে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে মাসুদ ছাড়াও আম্মান, আনিচ ও বরকত সিকদারসহ ৬/৭ জন আহত হন। তাদের বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদার বলেন, সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী ছিল না। তাই আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথের পক্ষে কাজ করেছি। এ কারণে মনোনয়ন পেয়েও দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় প্রার্থিতা বাতিল হওয়া ড. শাম্মীর অনুসারীরা আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এর রেশ ধরেই এই হামলা চালানো হয়।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইর আহমেদ বলেন, দুই পক্ষের হামলায় ৭ জন আহত হয়েছেন। কোনো পক্ষ থানায় এখনও অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।