বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ হলতা খাদ্যগুদাম থেকে বস্তাভর্তি সরকারি চাল সরিয়ে অন্যত্র নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, বাকেরগঞ্জ হলতা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে উপখাদ্য পরিদর্শক উম্মে কুলসুম বুধবার (৩ এপ্রিল ) খাদ্যগুদাম থেকে চাল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট রাজা খানের চাতালে ১৫ বস্তা চাল পাঠাচ্ছেন।
অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নছিমন ভর্তি চাল নেওয়া হচ্ছে রাজা খানের বাড়িতে। এ সময় নসিমনের চালক বলছেন, হলতা গুদাম থেকে চাল নিয়ে রাজা খানের বাড়িতে নিয়ে যাব। ভিডিওতে শোনা যায়, রাজা খান কি করেন, উত্তরে চালক বলেন সে চালের ব্যবসা করেন। সে কিসের চাল ছাড়িয়েছেন বলতে পারেন না নছিমন চালক। এছাড়াও উপ খাদ্য পরিদর্শক উম্মে কুলসুমের বিরুদ্ধে রয়েছে এমন অভিযোগ নিজে অফিস না করে স্বামীকে দিয়ে অফিস করান।
চাল ব্যবসায়ী রাজা খানের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুদামের এক কর্মচারী বলেন, প্রায় সময়ই গুদাম থেকে খাদ্যশস্য রাজা খান কুলসুম ম্যাডামের সহযোগিতায় নিয়ে যায়। কখনো দিনে কখনো রাতে। সে কোনো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার বা মেম্বার-চেয়ারম্যান না। কীভাবে মাল গুদাম থেকে নিয়ে যায় আমার জানা নেই। আর যারা সংশ্লিষ্ট আছে তাদেরকে সরকারিভাবে কাগজ-পত্র জমা দিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী উপ খাদ্য পরিদর্শক মো. জুয়েল মৃধা জানান, সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী সরকারি গুদাম থেকে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত (ডিও) ছাড়া কোনো খাদ্যশস্য বের করার নিয়ম নেই।
এ বিষয়ে উপখাদ্য পরিদর্শক উম্মে কুলসুমকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঘটনার বিষয় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রুবিনা পারভিনের বলেন, হলতা গুদামের ঘটনার প্রসঙ্গে বরিশালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসছেন, জেলা ফুড আরসিফুড, ডিসিফুড স্যারেরা আসছেন। তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে তার আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান বলেন- বিষয়টি শুনেছি সেখানে বিভাগীয় কর্মকর্তারা আসছেন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশাকরি তদন্তে সঠিক বেড়িয়ে আসলে উপ খাদ্য পরিদর্শক উম্মে কুলসুমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’