বার্তা কক্ষ: বরিশালে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীমের কর্মীরা নগরীর ৫নং ওয়ার্ড পলাশপুরে প্রচারণা চালাতে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সাদিক আব্দুল্লাহ’র অনুসারীদের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। সোমবার সন্ধ্যা রাতের এই সংঘাতে উভয়প্রার্থীর অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে জাহিদ ফারুক অনুসারী হালিম, রবিউল, মেহেদী, রফিকুল এবং সাদিক আব্দুল্লাহ’র কর্মী রাব্বি, আমিন ও আসিফকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ধ্যার কিছুটা আগে কাউনিয়া থানাধীন পলাশপুরের এই সংঘাতের খবরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে পুলিশ গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বরিশাল সদর ৫ আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহিদ ফারুক সোমবার নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরে হালিম এবং আরও কয়েকজন প্রচারণা চালান। এবং তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিকের অনুসারীদের উদ্দেশে তীর্যক মন্তব্য করেন। বিপরিতে সাদিক অনুসারীরা রাব্বিও পাল্টা অবস্থান নিয়ে নেতার পক্ষে প্রচারণা চালান এবং জাহিদ ফারুকের কর্মীদের নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেন। এনিয়ে উভয় প্রার্থীর কর্মীরা পলাশপুরে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে কোপাকুপিতে দু’গ্রুপের অন্তত ১০ কর্মী রক্তাক্ত হন। তাদের মধ্যে সাতজনকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনার পরপরই পুলিশ গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে উভয়গ্রুপকে নিবৃত সংঘাতের কারণ হিসেবে পুলিশ প্রাথমিক কিছু বলতে না পারলেও জাহিদ ফারুক এবং সাদিক আব্দুল্লাহ’র কর্মীরা পরস্পরবিরোধী পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন।
সাদিক আব্দুল্লাহ অনুসারী রাব্বি জানান, আমরা বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র ও আমাদের নেতা সাদিক আব্দুল্লাহ ভাইয়ের নির্বাচন করছি, এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নৌকার কর্মী হালিমের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এবং একপর্যায়ে তাকেসহ তিন সাদিক অনুসারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে।
অবশ্য জাহিদ ফারুক শামীম অনুসারী হালিমের অভিযোগও অনুরুপ। তিনি অভিযোগ করেন, আমাদের দোষ আমরা নৌকার পক্ষে নির্বাচন করছি। আমাদের মারধর ও কোপানো হয়েছে, এর শাস্তি চাই।
প্রচারণার প্রথমদিনের এই সংঘাতের ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীমের বক্তব্য না পাওয়া গেলেও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুল করিম জানিয়েছেন, ‘দুটি পক্ষের সাতজন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পলাশপুর এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এবং ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভিডিও লিংক: https://youtu.be/8yxfJKv-Q1E?si=J5oPilQGjWWGgGkY