বার্তা ডেস্ক ॥ কলেজছাত্রীকে অপহরণের ২৬ দিনেও উদ্ধার না হওয়ায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন কলেজছাত্রীর বাবা। বৃহস্পতিবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনার গোয়েন্দা শাখার ওসিকে কলেজছাত্রীকে উদ্ধারসহ সাত দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।
জানা যায়, ওই মেয়ে বরগুনার একটি বেসরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। গত ৯ ডিসেম্বর বিকাল ৩টার সময় বাড়ির কাছে একটি মাদ্রাসায় তার নম্বর ফর্দ আনতে যায়। এ সময় বরগুনা সদর উপজেলার হেউলিবুনিয়া গ্রামের নলিনী অধিকারীর ছেলে নিত্য অধিকারী (২৪) ও তার খালা দুলালী কলেজছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়।
ওই সময় এক প্রতিবেশী দেখে কলেজছাত্রীর বাবা-মাকে জানান। কলেজছাত্রীর বাবা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে তার মেয়েকে না পেয়ে বরগুনা থানায় ১২ ডিসেম্বর মামলা করতে গেলে থানা মামলা না নিয়ে একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি করেন।
কলেজছাত্রীর বাবা বলেন, আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়েটি একটি হিন্দু ছেলে অপহরণ করে নিয়েছে। এ ঘটনার দুদিন আগে আমার মেয়ে তার মাকে ফোন করে জানায় নিত্য আমার মেয়েকে একটি নির্জন এলাকায় আটক রেখে জোর করে ধর্ষণ করে। এর পর তার ফোন বন্ধ পাই। ৩০ ডিসেম্বর আবার বরগুনা থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। আমার মেয়ে জীবিত আছে কিনা তাও জানি না। ২৬ দিন পর্যন্ত নিখোঁজ।
বরগুনা থানার ওসি আবুল কাশেম মো. মিজানুর রহমান বলেন, কলেজ পড়ুয়া মেয়ের বাবা জিডি করতে এসে আর থানায় আসেনি। মামলা করতে চায়নি। আসামি নিত্য অধিকারী পলাতক থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।