রুপন কর অজিত: দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে পাঠদান চলাকালিন সময়ে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি কলেজ ক্যাম্পাসে মাদক সেবন ও ইভটিজিং করলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষনাও দিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সরকারি ব্রজমোহন কলেজ এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ প্রফেসর ড. এ এস কাইয়ুম উদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসকল নির্দেশনার বিষয়ে জানা যায়।
এর আগে গত ২২শে জুন সোমবার ” মাদকের আখড়া এখন বিএম কলেজ” এই শিরোনামে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিএম কলেজ মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসেই চলে এই রমরমা ব্যবসা। কলেজ কর্তৃপক্ষের দুর্বলতা ও রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায়ই চলে এই মাদক বিক্রি ও সেবন। এছাড়া বহিরাগতদের আদেশ নির্দেশেই চলছে এসব অসামাজিক কার্যকলাপ।ইতোমধ্যে পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। কয়েকটি হোস্টেল ও মাঠের পাশ দিয়ে হাঁটতেই পাওয়া যাচ্ছে মাদকের তীব্র গন্ধ। কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণেই ঐতিহ্যবাহী কলেজটির এমন দশা হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
আরো পড়ুন: মাদকের আখড়া এখন বরিশাল বিএম কলেজ!
এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিএম কলেজ কতৃপক্ষ এমন একটি কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন বলে জানাযায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- ক্যাম্পাসে পাঠদান চলাকালিন সময়ে কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কলেজ স্টাফ ব্যাতিত বহিরাগত কাউকে ঢুকতে হলে নিতে হবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি। এছাড়াও কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে শিক্ষার্থী বা বহিরাগতরা মাদক সেবন ও ইভটিজিং করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়- মাদক সেবন ও ইভটিজিং এর সাথে জড়িতরা যদি কলেজের শিক্ষর্থীও হয়ে থাকলে তাহলে তার দায়ভার কলেজ কর্তৃপক্ষ নিবে না।
ব্রজমোহন কলেজ এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ প্রফেসর ড. এ এস কাইয়ুম উদ্দীন আহমেদ জানান, নিউজ প্রকাশের পরে আমি বিষয়টা খুবই গুরুপ্তসহ দেখে এই ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি ইতিমধ্যে তারা বহিরাগত কয়েকজনকে আটও করেছে। ক্যাম্পাস মাদক মুক্ত রাখতে যেসকল পদক্ষেপ গ্রহন করা দরকার আমার পক্ষ থেকে আমি সকল পদক্ষেপ গ্রহন করবো।
তিনি আরো বললে, শুধু এই ক্যাম্পাসই নয় আমরা যদি সকলে এগিয়ে আসি তাহলে এই শহরকেও মাদক মুক্ত করা সম্ভব।
এদিকে সরকারি ব্রজমোহন কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।