বার্তা ডেস্ক ॥ মুজিব’স বাংলাদেশ ব্র্যান্ডনেম প্রচারের অংশ হিসেবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ‘কুয়াকাটার পর্যটন উন্নয়নে অংশীজনদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল গ্রেভার ইন ইন্টারন্যাশনালের অডিটোরিয়ামে এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবেরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (গ্রেড-১) চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ওবায়দুর রহমান, কলাপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ, হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, উন্নত বিশ্বের সাথে চলতে গেলে এখনই পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে হবে। এগিয়ে নেওয়ার যুদ্ধে অংশীজনরাই মুখ্য। পর্যটন খাতে সম্ভাবনা জাগছে। এখানে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আপনাকে দক্ষ মানব হতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ আমরা দেব। কুয়াকাটা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সমাদৃত হয়েছে।
বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, শুধু পর্যটনকে ঘিরেই বিশ্বের বহুদেশ স্বাবলম্বী। কুয়াকাটা একটি সম্ভাবনাময় কেন্দ্র। এক্ষেত্রে অংশিজনরাই ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। সকল অংশীজনরা যেন ব্যবহার সুন্দর ও আন্তরিকতা দেখায় পর্যটকদের প্রতি। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। এখন পর্যটকদের আগমন ঘটবে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিওনের ইনচার্জ আবু হাসনাইন পারভেজ বলেন, নির্বিঘ্নে পর্যটকরা কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান ঘুরতে পারে। এখানকার পরিবেশ পরিবর্তন হয়েছে। আমরা খোয়া যাওয়া মোবাইল, টাকা, স্বর্ণালংকারসহ যাবতীয় জিনিস আমরা পর্যটকদের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এক কথায় বলতে পারি নিরাপদ জায়গা কুয়াকাটা।
মূল প্রবন্ধে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার তুলে ধরেন এখন দেশের পর্যটক টানার চেষ্টা করার চাইতে বিদেশিদেরও টানতে হবে। আর এ কাজগুলো করে থাকে এখানকার ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইডসহ অনেক সেক্টরের লোকজন। এ ছাড়াও তিনি প্রতিটি অংশীজনদের দায়িত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি বিভিন্ন প্রশ্ন শোনেন ও উত্তর প্রদানসহ ‘ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা’ বিশেষ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন।
মুজিব’স বাংলাদেশ ব্র্যান্ডনেম প্রচারের অংশ হিসেবে কুয়াকাটায় চলছে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল কুয়াকাটা। গত দিন পর্যটকরা মেতে ছিল নানা উৎসবে। আজ উৎসবের শেষ দিনেও থাকছে পর্যটকদের জন্য সৈকতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফানুস উড়ানো, ঘুড়ি উৎসব, বিচ ফুটবল, বিচ ভলিবল, রাখাইন নৃত্যের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল কুয়াকাটা।