সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সম্পাদক (ইসলামী ইতিহাস ও সাংস্কৃতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক) আলামিন সরোয়ার এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সম্পাদক আলামিন সরোয়ারের অপসারণের দাবি জানিয়ে ব্রজমোহন কলেজের সামনের সড়কও অবরোধ করাসহ প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে কলেজের উপাধ্যক্ষ এ এস কাইয়ুম আহমেদ, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র জিয়াউর রহমান বিপ্লবসহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সম্পাদক (ইসলামী ইতিহাস ও সাংস্কৃতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক) আলামিন সরোয়ার এর বিভিন্ন দুর্নীতির প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে কলেজের জিড়ো পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। ছাত্রলীগের একাংশের নেতৃত্বে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক হয়ে সামনের প্রধান সড়কে গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে সড়ক আটকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এসময় আন্দোলকারীরা জানান, সরকারি বিএম কলেজের শিক্ষক পরিষদের অবৈধভাবে সম্পাদক পদটিতে রয়েছেন আলামিন সরোয়ার।
এসময় তারা ৫ দফা দাবী পেশ করেন।
দাবিগুলো হল- শিক্ষক পরিষদের নাম ভাঙ্গিয়ে কলেজের বিভিন্ন কাজে দুর্নীতি বন্ধ করা। কলেজের শৃঙ্খলা ফেরাতে মেয়াদ উত্তীর্ণ অবৈধ শিক্ষক পরিষদ বাতিল করে নতুন শিক্ষক পরিষদ গঠন করা।
সুরেন্দ্র হলের সামনে কলেজের জমিতে থাকা দোকান ভাড়ার টাকা সঠিকভাবে ফান্ডে জমা না দেয়ায়, সুরেন্দ্র হলের সুপার থেকে আলামিন সরোয়ারকে অব্যহতি দেয়া।
সিট অ্যালোডমেন্টের টাকা দিয়ে হোস্টেলগুলোর উন্নয়ন করা এবং শিক্ষক আলামিন সরোয়ার এর ছত্রছায়ায় থাকা বহিরাগতদের হোস্টেলে প্রবেশ বন্ধ করা।
উন্নয়নের নামে নিজের পছন্দের শিক্ষকদের দিয়ে কমিটি বানিয়ে কলেজের অর্থ লোপাট কার্যক্রম বন্ধ করা এবং ভর্তি ও ফিলাপের গত ৫ বছরের টাকার হিসাব প্রকাশ করা।
এছাড়া বরিশাল নগর ও বরগুনাতে শিক্ষক আলামিন সরোয়ারের গড়ে তোলা বিপুল সম্পদের অনুসন্ধান দুদুকের মাধ্যমে করানো।
এসময় মাইদুল ইসলাম, রিফাত চৌধুরী, এস এম সাউথ, রাশেদ ইসলাম, ইমরান হোসেন, নেয়ামত শুভ, জাফরসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।