বরিশালে ক্লাস বন্ধ রেখে স্কুল মাঠে মেলার আয়োজন
- আপডেট সময় : ০৬:০৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
- / ২৮৫ বার পড়া হয়েছে
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রামানন্দের আঁক সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ রেখে মাঠে মেলার আয়োজন করার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা উপস্থিত থাকলেও ক্লাসে আসেনি শিক্ষার্থীরা। স্কুল মাঠে মেলার আয়োজন নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিস ও প্রধান শিক্ষকের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার সকাল থেকে স্কুলের মাঠে বিভিন্ন দোকান বসানো হয়েছে।পৌষসংক্রান্তির উৎসব ও মার্বেল খেলার মেলার আয়োজন করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রামানন্দের আঁক গ্রামে পৗষসংক্রান্তি ধরে রাখতে মার্বেল খেলার আয়োজন করা হয়। প্রতিবছরের মতো আজ সোমবার রামানন্দের আঁক গ্রামে পৌষসংক্রান্তির মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলা উপলক্ষে রামানন্দের আঁক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ রেখে বিদ্যালয় মাঠে দোকান বসানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ডাক্তার বিধান বিশ্বাস, শুভাষ মন্ডল, স্থানীয় ইউপি সদস্য মিহির কুমার বিশ্বাস বলেন, রামানন্দের আঁক গ্রামে ২৪৪ বছর আগে সোনাই চাঁদ আউলিয়া নামের এক ব্যক্তির ছয় বছর বয়সে বিয়ে হয়। সাত বছর বয়সে স্বামী মারা গেলে নিঃসন্তান অবস্থায় শ্বশুরবাড়িতে একটি নিমগাছের গোড়ায় প্রার্থনা ও শিবের পূজা-অর্চনা শুরু করে। আনুমানিক ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতিবছর পৌষসংক্রান্তির এই দিনে মার্বেল খেলার মেলা ও রাতে বৈষ্ণব সেবা, নাম সংকীর্তন, কবিগান শেষে সোয়া মণ চালের কুঁড়ার সঙ্গে সোয়া মণ গুড়, ৫০ জোড়া নারকেল ও কলা মিশ্রণ করে নবান্ন তৈরি করে দর্শণার্থীদের খাওয়াত। তারই ধারাবাহিগতায় প্রায় ২৪৩ বছর যাবৎ এ গ্রামে মার্বেল খেলার মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।আর এই মেলা উপক্ষে আগৈলঝাড়া উপজেলা পার্শ্ববর্তী কোটালীপাড়া, উজিরপুর, ডাসার, মাদারীপুর, কালকিনি, গৌরনদী, বানারীপাড়া, বাকেরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে বিভিন্ন বয়সের হাজারো নারী-পুরুষ অংশ নেয়।
এ ব্যাপারে মেলা কমিটির সভাপতি রামকৃষ্ণ হালদার, সাধারণ সম্পাদক মনোতোষ বিশ্বাস জানান, প্রতিবছর এই গ্রামে মার্বেল খেলা ও মেলা বসে। স্কুল বন্ধ করে স্কুল মাঠে কারা দোকান বসিয়েছে তা আমাদের জানা নেই।
এ ব্যাপারে ১৮ নং রামানন্দের আঁক সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শঙ্কর লাল বিশ্বাস বলেন, ‘মাঠের জায়গা আমাদের স্কুলের না। আমাদের বিদ্যালয়ে ১৬০ জন শিক্ষার্থী ও ছয়জন শিক্ষক রয়েছেন।আমরা