দেশের পাঁচটি অভয়াশ্রমসহ বিভিন্ন নদীতে মাছ ধরায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে আগামী দুই মাস সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি সরকার নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দেবে বলে জানাযায়।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে রবিবার (৩ মার্চ) সকালে থেকে রাত পর্যন্ত বরিশালের বিভিন্ন নদীতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছে নৌ-পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল অঞ্চলের নৌপুলিশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির।
এসময় বরিশাল অঞ্চলে নৌ-পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কীর্তনখোলা ,কালা বদর,আড়িয়াল খাঁ,মেঘনা ও তেতুলিয়া সহ বিভিন্ন নদীত পৃথক অভিযান চালিয়ে নদীতে পাতানো অবস্থায় ১১ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল ও ৯৬০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সহ ১৭ জনকে আটক করেছেন। এছাড়া দুইটি নৌযান আটক ও একটি মৎস মামলা হয় বলে জানাযায়।
বরিশাল অঞ্চলের পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন এর নির্দেশনায় নৌ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
বরিশাল অঞ্চলের নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন জানান, জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে এবং সরকরারে দেয়া নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে বরিশালের কীর্তনখোলা,কালা বদর, আড়িয়াল খাঁ, মেঘনা ও তেতুলিয়া সহ বিভিন্ন নদীতে নৌপুলিশ পৃথক অভিযান চালায়। এসময় ১১ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল ও ৯৬০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সহ মোট ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট ইউএনও এবং মৎস্য কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে অবৈধ কারেন্ট জাল গুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন,গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।