বার্তা ডেস্ক: ২৯ ডিসেম্বর বরিশালে আসবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগমন ও জনসভাকে কেন্দ্র করে বরিশাল নগরীতি চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এ উপলক্ষ্যে জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা বরিশাল মহানগরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণার মুখরিত নগরী । দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে বরিশাল আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফর কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও জনসভার সভাপতি বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চল বাংলাদেশের উন্নয়নের রোল মডেল। পদ্মা সেতু পায়রা বন্দর থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এনেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তার জনসভায় কমপক্ষে ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটবে।
এছারা প্রধানমন্ত্রীর সফর কমিটির সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরিশাল সফর নির্বাচনী জনসভা করার। তাই নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে সব কিছু করা হবে। আজকের জনসভা হবে স্মরনকালের সেরা জনসভা। এজন্য বিভাগের সব জেলা ও উপজেলায় স্ব-স্ব ইউনিট প্রচার চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সবশেষ বরিশাল সফর করেছেন জানিয়ে বলরাম পোদ্দার আরও বলেন, আজকের নির্বাচনী জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশাল বিভাগের নৌকা মার্কার প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিবেন। পাশাপাশি দেশব্যাপী চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট চাইবেন।
অন্যনদিক প্রধানমন্ত্রীর সফর কমিটির মুখপাত্র হিসাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চল বাংলাদেশের উন্নয়নের রোল মডেল। পদ্মা সেতু পায়রা বন্দর থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এনেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তার জনসভায় কমপক্ষে ১০ লাখ লোকসমাগমের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সফর কমিটির সমন্বয়ক বরিশাল সিটি করপোরশেনের মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত আব্দুল্লাহ, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ ফারুক শামিম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দারসহ অনেকে।
সভাস্থলকে জনসমুদ্রে পরিণত করার লক্ষে ইতোমধ্যে নগরের বান্দরোডের বঙ্গবন্ধু উদ্যানকে সাজানো গোছানোর কাজ শেষ। চলছে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় মাইকিং। নগরের প্রতিটি পয়েন্টকে সাজানো হয়েছে করা হয়েছে রাস্তা মেরামত, লাগানো হয়েছে রাস্তার মধ্যখানে বিভিন্ন ধরনের লাইট। জোরদার করা হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। নগরী ছেয়ে গেছে নেতাকর্মীদের তোরণ, ফেস্টুন আর ব্যানারে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে নগরজুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।