বার্তা ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনকে গ্রেফতার ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে পটুয়াখালীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে।
রোববার রাতে পৌর শহরের সদর রোডস্থ এলাকায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সুশীল সমাজ এবং সাধারণ মানুষ অংশ নেন। বিক্ষোভ শেষে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এবং পটুয়াখালী প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়ে আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন তারা। ৭ জানুয়ারি বিকালে ভোটের দিন পটুয়াখালী-১ আসনে জোটের প্রার্থী এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আফজাল হোসেনের বাড়ির দরজায় একটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে আফজালের ভাইদের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ জোটের সিদ্ধান্তে জাপার কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে লাঙ্গল মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীসহ আমরা জননেত্রীর সিদ্ধান্তে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে লাঙ্গলের পক্ষে কাজ করলেও অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও তার লোকজন কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী নাসির উদ্দিনের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। শেষ পর্যন্ত রুহুল আমিন হাওলাদারের ওপর হামলা করেছেন তারা। এ ছাড়া তিনি বিগত নির্বাচনগুলোতে দলীয় প্রার্থীদের পরাজিত করতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি ক্রমাগত দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে বিভাজন সৃষ্টি করছেন। তাই আফজালকে দল থেকে বহিষ্কার করে তার ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের বিচার করা উচিত বলে মনে করি।
পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীরসহ আ.লীগের নেতা বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা চিঠির মাধ্যমে নৌকা উঠিয়ে পটুয়াখালী-১ আসনে লাঙ্গল দিয়েছেন। ১৮ ডিসেম্বর ফোনকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের মহাসচিব লাঙ্গলের প্রার্থীকে সহযোগিতা করতে বলেন। পরে আমি জরুরি সভা ডেকে এ নির্দেশনা দলের সবাইকে অবগত করে রুহুল আমীনের পক্ষে কাজ শুরু করি। অথচ আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগের একটি অংশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং আফজালের বাসায় আশ্রয় দিয়ে তার নির্বাচন পরিচালনা করছেন। যে কারণে এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।