গত দুইমাস আগে গরু চুরির অপবাদ দিয়ে আমার দোকানে তালা দেয় কালাম মেম্বার। এবিষয়ে জানতে চাইলে কালাম মেম্বার বলেন, খলিল গরু চুরি করে তাই আমি তার দোকানে তালা দিয়েছি। সে এই বাজারে দোকানদারি করতে পারবেনা। চুরির কোনো প্রমাণ আছে কিনা বা দুই বছর আগে গরু চুরির ঘটনায় দুমাস আগে কেন তারা দোকানে তালা দিয়েছেন? এমন প্রশ্নে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন মেম্বার কালাম। তখন তিনি বলেন, আমার স্ত্রী গণকের কাছে গিয়ে নিশ্চিত হয়েছে যে খলিল-ই চুরি করেছে। তাছাড়া আমি এলাকার মেম্বার হিসেবে বলছি খলিল এই বাজারে দোকানদারি করতে পারবেনা।
এদিকে মাংসের দোকানদার খলিল বলেন, কালাম মেম্বার আমাকে চুরির অপবাদ দিয়ে দোকানে তালা দিয়ে আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলেন, টাকা দিলে দোকানদারি করতে পারবি অন্যথায় এই বাজারে দোকানদারি করতে পারবি না। এ প্রসঙ্গে চরামদ্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: খোকন বলেন, কালাম মেম্বারকে আমিও জিগ্যেস করেছি যে দুইবছর আগে গরু চুরির ঘটনায় দুইমাস আগে কেন তার দোকানে তালা মারা হলো। তবে সে কোনো সদুত্তর না দিয়ে কালাম মেম্বার বলেছিলেন, আমার গরু খলিল-ই চুরি করেছে তাই আমি তার দোকানে তালা দিয়েছি।
এবিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) ফজলুল করিম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে এখন খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।