ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের শঙ্কা!
শহীদ মিনার সংকটে বরিশালে অধিকাশং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান!
- আপডেট সময় : ০১:৩৭:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে
রুপন কর অজিত: রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার দাবিতে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দলনে শহীদ হয়েছিলেন সালাম, বরকত, রফিক ও জব্বারসহ আরো অনেক ভাষা সৈনিক। বাঙালি ছাড়া ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে পৃথিবীতে এমন জাতি আর কোথাও নেই। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই বিশ্বের প্রায় ১৯২টি দেশে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বাঙালির প্রাণের এই বাংলাভাষা বিশ্বব্যাপী আজ সমাদৃত।
প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি এলেই ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের সুর বেজে ওঠে সকলের মনে। ঐতিহাসিক এ গানের করুণ সুরে আবেগাপ্লুত হয়ে উঠে বাঙালির হৃদয়। ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রসহ বাংলাদেশেও বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। এসব কর্মসূচির মধ্যে প্রভাতফেরি, র্যালি, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণ করা অন্যতম।
কিন্তু ভাষা আন্দোলন ৭২ বছরে পা রাখলেও বরিশালে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। ফলে মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতির প্রতি দেশের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা নিবেদন ও ভাষা সৈনিকদের অবদান সম্পর্কে জানার আগ্রহও সৃষ্টি হচ্ছে না।
বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় তারা ভাষা শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারে না। এমনকি অনেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ দিবসটিতে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষকরা ছুটি ভোগ করেন।
ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার নেই বরিশালের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। অনেক প্রতিষ্ঠানে থাকলেও তা জরাজীর্ণ। ফলে শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলন ও বায়ান্নর শহীদদের বিষয়ে জানতে ও শিখতে পারছে না কিছুই। এছাড়া যেগুলো রয়েছে সেগুলোও সংস্কারের অভাবে অযত্নে আর অবহেলায় পড়ে আছে। প্রতি বছর শহীদ দি