যে পরিস্থিতিতে নির্বাচন বাতিল করতে পারে ইসি
- আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ২১৩ বার পড়া হয়েছে
বার্তা ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই বিরোধী দল অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে, একই সাথে প্রচারণা ঘিরে বেশ কিছু সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
যদিও নির্বাচন নিয়ে এখনই কোনো শঙ্কা দেখছে না নির্বাচন কমিশন, কিন্তু ভোটগ্রহণে বিঘ্ন ঘটলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতে কতটা ক্ষমতা থাকবে?
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে ভোটগ্রহণের আগে তা বন্ধের একটা আইন আগের সব নির্বাচনে ছিল। কিন্তু এ বছর ভোটের আগেই সেটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
কেননা গত বছর একটি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকেই নির্বাচন বাতিলে ইসির ক্ষমতার বিষয়টি নির্বাচনী আইন বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
একজন সংসদ সদস্যের মৃত্যুর পর গাইবান্ধা জেলার একটি আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ করে সরকারের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিল ইসি।
এর আট মাসের মাথায় আরপিওতে যে সংশোধন আনা হয়েছিল সেখানেই পুরো আসনের ভোট বাতিলে ইসির ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়।
নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, সংশোধিত আইনের পর ‘হাত-পা বাঁধা’ অবস্থায় প্রথম কোনো নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে ইসি।
যদিও নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর বলছেন, পরিস্থিতি খুব খারাপ হলে নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে ইসি। তবে ইসির ওই ক্ষমতা আদৌ আছে কিনা এ নিয়ে সন্দিহান নির্বাচন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ।
এ নিয়ে নির্বাচনী আইনে যা বলা আছে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট বন্ধের বিষয়টি রয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিওর ৯১-এর ‘ক’ ধারায়। গত বছর অক্টোবরে গাইবান্ধার ওই উপ-নির্বাচন বন্ধের পর, চলতি বছর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আইনের এই ধারায় সংশোধন আনা হয়।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে বাংলাদেশে নির্বাচন পরিচালিত হয়।
সংশোধিত আইনে বলা আছে, ‘বলপ্রয়োগ, ভীতি প্রদর্শন, চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন কারণে নির্বাচন কমিশন যদি ভোট পরিচালনা করতে না পারে, তাহলে ভোটকেন্দ্র বা ক্ষেত্র মতে সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের যেকোনো পর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে ইসি।’
সংশোধিত আইনের এই ধারার একটি শব্দ পরিবর্তনই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে। কেননা, এর আগে ‘ভোটগ্রহণের’ জায়গায় শব্দটি ছিল ‘নির্বাচন’। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. এম