বরিশাল সিটির ৩০টি ওয়ার্ড, সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন এবং বাবুগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নসহ ৪৪৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটান পুলিশ গঠন করা হয় ২০০৬ সালে। এখানকার প্রায় আট লাখ মানুষের জন্য আছে দু হাজার মেট্রো পুলিশ। যানবাহন বলতে আছে মোটরসাইকেল ও ল্যাডারসহ ৫৪টি। এ অবস্থায় আসামির পিছু ধাওয়া করতে কিংবা টহল ডিউটি দিতে অথবা জরুরি অভিযান সামাল দিতে প্রতিদিন ব্যক্তিমালিকানার অন্তত ২৫টি মাহিন্দ্রা অথবা সিএনজিচালিত অটোরিকশা তেল খরচের বিনিময়ে রিকুইজিশন দেওয়া হচ্ছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ওসি (কোতয়ালী) মো. আজিমুল করিম বলেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২০টি ওয়ার্ড ও সদরের দুটি ইউনিয়ন নিয়ে প্রতিষ্ঠিত কোতয়ালী থানা এলাকাটি একটি ব্যস্ততম এলাকা। এ থানার জন্য দেওয়া দুটি টহল গাড়ির মধ্যে দুটির অবস্থাই খারাপ। আপাতত চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাহিন্দ্রা রিকুইজিশন দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। দুর্গম এলাকা থেকে সন্ত্রাসীরা দ্রুতযান নিয়ে চলে আর আমাদের চলতে হয় থ্রি–হুইলার বা অটোরিকশায়।’
এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার গোবিন্দ চন্দ্র দাস বলেন, ‘যানবাহন খাতে যা বরাদ্দ পাই তা দিয়ে কাজ হয় না। বড় পর্ব এলে অনেক গাড়ি রিকুইজিশন দিতে হয়। নদীবেষ্টিত এলাকায় এগুলো দিয়েও কাজ হয় না। থ্রি হুইলার গাড়িতে পুলিশি দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। এতে হাড় ব্যথা হয়ে যায়। আমাদের পর্যাপ্ত গাড়ি দরকার।’
বরিশাল মেট্রো পুলিশের যানবাহন চাহিদা ও প্রাপ্তির মধ্যে অনেক বড় ঘাটতি আছে। এ কথা স্বীকার করে বরিশালের পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন, বর্তমান অবস্থায় অপরাধীদের সঙ্গে লড়তে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কমিশনার আরও জানান, চার থা