তবে এ নিষেধাজ্ঞা নির্বাচনে প্রার্থী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতি প্রাপ্ত পর্যবেক্ষক এবং নির্বাচনী এজেন্টদের জন্য প্রযোজ্য হবে না।
তবে পর্যবেক্ষক ও পোলিং এজেন্টদের যানবাহনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত স্টিকার ব্যবহার করতে হবে।
এছাড়া জাতীয় হাইওয়েগুলোতে এবং গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় সংযোগ সড়কের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। তাছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন-অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এদিকে প্রচার-প্রচারণা শেষে এখন বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নগুলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নজরদারি ও টহল বৃদ্ধি করেছে। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উভয় উপজেলার নির্বাচনী এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, বরিশাল সদর উপজেলার ৬৮ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৭টিকে গুরুত্বপূর্ণের তালিকায় রেখেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। ভোটের দিন ওই সকল কেন্দ্রে বুথ সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার, ভিডিপি ও গ্রামপুলিশের ১৮ থেকে ১৯ জন সদস্য মোতায়েন করা হবে। সবমিলিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় নির্বাচনে প্রায় ১২০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
অপরদিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১১৩ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৩টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা পুলিশ। এ উপজেলায় ১৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৮১৪ জন পুলিশ সদস্যসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন।
এদিকে সিনিয়র জেলা রিটার্নিং অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান মুন্সী বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।
জাল ভোট প্রদানের কোনো সুযোগ থাকবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট কক্ষে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা পরিলক্ষিত হলে পোলিং এজেন্টরা সঙ্গে সঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসারকে জানাবেন। তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন। শতভাগ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে
কোনো প্রার্থীর প্রভাব বিস্তারের সুযোগ থাকবে না বলেও জানান তিনি।