বরিশাল মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আজ আগাম ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন কয়ের হাজার পরিবার।
বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে নগরীর তাজকাঠী, জিয়াসড়ক, টিয়াখালী, হরিনাফুলিয়া, বরিশাল সদরের সাহেবেরহাট এলাকাসহ জেলার প্রায় অর্ধশত মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মুলত বুধবার যারা ঈদ পালন করছেন তারা চট্টগ্রামের চন্দনাইশের জাহাগীরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারী।
পৃথিবীর কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাসহ যাবতীয় ধর্মীয় আচার পালন করেন। আর যেহেতু গতকাল সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, তাই সেখানকার সাথে মিল রেখে তারাও আজ ঈদ পালন করছেন।
বরিশাল নগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হরিনাফুলিয়ার চৌধুরীবাড়ি শাহসুফী মমতাজিয়া জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।সকাল ৮টার পর থেকেই এ মসজিদে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন।
বয়ান, খুদবা পাঠের মধ্য দিয়ে ঈদের নামাজ আদায় শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা একে অপরকে জড়িয়ে কোলাকুলি করেন। মসজিদে ঘিরে আলাদা এক উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।
পূর্ব হরিনাফুলিয়ার চৌধুরীবাড়ি শাহসুফী মমতাজিয়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত পরিচালনাকারী হাফেজ মাওলানা মো. আবু জাফর বলেন, আমরা সারাবিশ্বের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছি। রোজাদারের জন্য ঈদ হচ্ছে খুশির দিন, আনন্দের দিন।
এ কমিটির সভাপতি আমীর হোসেন জানান, নগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাগরদী, তাজকাঠীসহ আশপাশের প্রায় ৫০০ পরিবার সোমবার ঈদ পালন করছেন।
এছাড়া বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক হাজার পরিবার আজ ঈদ পালন করেন বলে জানাযায়।
এদিকে বাবুগঞ্জের খানপুরা, কেদারপুর, মাধবপাশাসহ ৫-৬টি গ্রামের দেড় হাজারের বেশি পরিবারে বুধবার ঈদ উদযাপন হচ্ছে।
অন্যদিকে জেলার মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় এবং সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন, পতাং, লাহারহাট গ্রামের জাহাগিরি সুফী দরবারের প্রায় ২ হাজার অনুসারী রয়েছেন বলেও জানা যায়।