বার্তা ডেস্ক: সাপ্তাহিক ছুটির দিন বরিশালে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষ্যে উৎসবের নগরীতে রূপ নিয়েছে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানের জনসমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
এ জনসমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকে বরিশাল নগরীর পাশাপাশি বিভাগের ৬ জেলার আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসছেন। এসময় তারা বিভিন্ন রঙ-বেরঙয়ের টিশার্ট ক্যাপ পরে ও ব্যান্ড-বাজনাসহ তালে তালে মিছিল নিয়ে সমাবেশে বঙ্গবন্ধু উদ্যানমুখী হয়েছেন। এছাড়া নারীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। তারা রঙবেঙরের শাড়িতে সেজে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আসছেন। এসময় তাদের নৌকার পক্ষে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দেখা গেছে। সমাবেশে নিরাপত্তা নিশ্চিতে নগরীর বিভিন্নস্থানের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একনজর দেখতে সকাল থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা নগরীতে অবস্থান নেন। এদের মধ্যে নারী, তরুণ-তরুণীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। তারা হাতে লাল-সবুজ পতাকার সঙ্গে রঙবেরঙের পোশাক পড়ে নগরীতে প্রবেশ করায় উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে বরিশাল। জনসভাকে কেন্দ্রে করে দলীয় প্রতীক নৌকার প্রতিকৃতি নিয়েও এসেছেন অনেকে।
ঝালকাঠি থেকে আসা আলামিন হাওলাদার জানান, পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পর প্রধানমন্ত্রী বরিশালে আসছেন। তাই তাকে এক নজর দেখতে জনসভার উদ্দেশ্যে বরিশাল নগরীতে এসেছি। তারা ৬ বন্ধু ঝালকাঠি থেকে এক সঙ্গে এসেছেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে নগরজুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, টহল পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মাঠে রয়েছে। নগরে বৃদ্ধি করা হয়েছে পুলিশের টহল। সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। মাঠ ও আশপাশে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গোটা নগরী নিরাপত্তার চাঁদরের ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জনসভায় যোগ দিতে আসার সময় ও ফিরে যাওয়ার সময় জনসাধারণ যাতে কোনো ভোগান্তিতে না পড়েন সেজন্য পর্যপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যানজট এড়াতে পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মাঠে রয়েছে। নৌপথে টল দিচ্ছে নৌপুলিশের সদস্যরা।