০৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে নিজ গ্রামে পৌঁছল শান্তর মরদেহ, এলাকায় শোক

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
  • / ১৪১ বার পড়া হয়েছে

কোটাবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে পুলিশের গুলিতে নিহত মুহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর মরদেহ বরিশাল এসে পৌঁছেছে। বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের মানিককাঠি গ্রামে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়। এ সময় লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে শান্তর বাবা-মা ও শিক্ষক ছিলেন। গ্রামের বাড়িতে শান্তর মরদেহ পৌঁছনোর পর মাতম দেখা যায়।

কান্নায় পুরো এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।

নিহত শান্ত চট্টগ্রামের বাকলিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করে সেখানকার এমইসি কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে প্রথম বর্ষে ভর্তি হন। শান্ত  রহমতপুর এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেনের ছেলে। তার বাবা জাহাজে চাকরি  করেন।

তারা এক ভাই ও  এক বোন। ছোট বোন সুমাইয়া জান্নাত সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।শান্তর বাবা জাকির হোসেন বলেন, তার ছেলে আন্দোলনের সম্পৃক্ত ছিল না। প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল।

তখন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। তার দেহে তিনটি গুলি লেগেছিল।শান্তর প্রতিবেশী আলাউদ্দিন জানান, শান্ত একেবারে শান্তশিষ্ট। চট্টগ্রামে থাকত বাবা-মায়ের সেঙ্গে। মাঝে মাঝে বরিশাল আসত।

স্কুলজীবনেও দেখেছি সে কখনো কারো সঙ্গে ঝগড়াও করেনি। তার মতো ছেলেকে পুলিশ গুলি করে মারবে এটা আমরা প্রত্যাশা করিনি।নিহত মুহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর জানাজা রহমতপুর মানিককাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জোহর নামাজ শেষে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

বরিশালে নিজ গ্রামে পৌঁছল শান্তর মরদেহ, এলাকায় শোক

আপডেট সময় : ০৫:০১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

কোটাবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে পুলিশের গুলিতে নিহত মুহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর মরদেহ বরিশাল এসে পৌঁছেছে। বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের মানিককাঠি গ্রামে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়। এ সময় লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে শান্তর বাবা-মা ও শিক্ষক ছিলেন। গ্রামের বাড়িতে শান্তর মরদেহ পৌঁছনোর পর মাতম দেখা যায়।

কান্নায় পুরো এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।

নিহত শান্ত চট্টগ্রামের বাকলিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করে সেখানকার এমইসি কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে প্রথম বর্ষে ভর্তি হন। শান্ত  রহমতপুর এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেনের ছেলে। তার বাবা জাহাজে চাকরি  করেন।

তারা এক ভাই ও  এক বোন। ছোট বোন সুমাইয়া জান্নাত সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।শান্তর বাবা জাকির হোসেন বলেন, তার ছেলে আন্দোলনের সম্পৃক্ত ছিল না। প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল।

তখন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। তার দেহে তিনটি গুলি লেগেছিল।শান্তর প্রতিবেশী আলাউদ্দিন জানান, শান্ত একেবারে শান্তশিষ্ট। চট্টগ্রামে থাকত বাবা-মায়ের সেঙ্গে। মাঝে মাঝে বরিশাল আসত।

স্কুলজীবনেও দেখেছি সে কখনো কারো সঙ্গে ঝগড়াও করেনি। তার মতো ছেলেকে পুলিশ গুলি করে মারবে এটা আমরা প্রত্যাশা করিনি।নিহত মুহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর জানাজা রহমতপুর মানিককাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জোহর নামাজ শেষে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।