১২:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বামীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে স্ত্রীর সন্তান প্রসব

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:০১:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১৯২ বার পড়া হয়েছে

বার্তা ডেস্ক ॥ আলতাফ হোসেনের (৩৫) মৃত্যুতে আহাজারি করছিল স্বজনেরা। এরই মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার লাশ নেওয়া হচ্ছিল আশাশুনি গ্রামের বাড়িতে। ওই লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হঠাৎ প্রসববেদনা শুরু হয় ছেলের বউ রহিমা খাতুনের। পরে সেখানেই কন্যাসন্তান প্রসব করেন তিনি।

মারা যাওয়া আলতাফ হোসেন উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে। আলতাফ এলাকায় শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতেন। তার এক মেয়ে ও এক ছেলে। ৯ বছর বয়সী মেয়ে তাহমিনা স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। ছয় বছরের ছেলে সিয়াম স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।

আলতাফের বাবা শামছুর রহমান বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে ঢাকার একটি ইটভাটায় কাজ করতে যান আলতাফ। দুই মাস কাজ করে সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার ছেলে। গত ৩০ নভেম্বর বাড়িতে ফিরে আসেন। অসুস্থতা বাড়লে ২ ডিসেম্বর তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে আলতাফ মারা যান।

জানা গেছে, মৃত্যুর পর গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আলতাফ হোসেনের লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ির পথে ফিরছিলেন রহিমা খাতুন ও অন্য স্বজনেরা। অ্যাম্বুলেন্সটি আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা এলাকায় পৌঁছালে রাত ১০টার দিকে রহিমা খাতুনের প্রসবব্যথা শুরু হয়। একপর্যায়ে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই তিনি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে প্রতাপনগর এবিএস ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী বলেন, পরিবারটি আলতাফের উপার্জনে চলছিল। হঠাৎ তার মৃত্যুতে পরিবারটি বিপদের মুখে পড়ে গেল।

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

স্বামীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে স্ত্রীর সন্তান প্রসব

আপডেট সময় : ১২:০১:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

বার্তা ডেস্ক ॥ আলতাফ হোসেনের (৩৫) মৃত্যুতে আহাজারি করছিল স্বজনেরা। এরই মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার লাশ নেওয়া হচ্ছিল আশাশুনি গ্রামের বাড়িতে। ওই লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হঠাৎ প্রসববেদনা শুরু হয় ছেলের বউ রহিমা খাতুনের। পরে সেখানেই কন্যাসন্তান প্রসব করেন তিনি।

মারা যাওয়া আলতাফ হোসেন উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে। আলতাফ এলাকায় শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতেন। তার এক মেয়ে ও এক ছেলে। ৯ বছর বয়সী মেয়ে তাহমিনা স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। ছয় বছরের ছেলে সিয়াম স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।

আলতাফের বাবা শামছুর রহমান বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে ঢাকার একটি ইটভাটায় কাজ করতে যান আলতাফ। দুই মাস কাজ করে সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার ছেলে। গত ৩০ নভেম্বর বাড়িতে ফিরে আসেন। অসুস্থতা বাড়লে ২ ডিসেম্বর তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে আলতাফ মারা যান।

জানা গেছে, মৃত্যুর পর গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আলতাফ হোসেনের লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ির পথে ফিরছিলেন রহিমা খাতুন ও অন্য স্বজনেরা। অ্যাম্বুলেন্সটি আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা এলাকায় পৌঁছালে রাত ১০টার দিকে রহিমা খাতুনের প্রসবব্যথা শুরু হয়। একপর্যায়ে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই তিনি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে প্রতাপনগর এবিএস ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী বলেন, পরিবারটি আলতাফের উপার্জনে চলছিল। হঠাৎ তার মৃত্যুতে পরিবারটি বিপদের মুখে পড়ে গেল।