স্বরূপকাঠিতে কর ফাঁকি দিয়ে সুপারি পাচার কালে বোটসহ আটক ৩

- আপডেট সময় : ০৬:৪০:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
- / ২৭২ বার পড়া হয়েছে

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে কর ফাঁকি দিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের সুপারি নদীপথে ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হয়। এ সময় দুটি ফিশিংবোটসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) নেছারাবাদ থানায় মামলা রুজু শেষে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়।
আটককৃতরা হলেন- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী এলাকার সেকান্দার হাওলাদারের ছেলে হারুন হাওলাদার (৬০), একই এলাকার আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে অলি হাওলাদার (২৮), লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের ফয়জল হকের ছেলে নূর নবী মাঝি (৩২)।
থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নেছারাবাদ থানার এসআই আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে টহল পুলিশের একটি দল উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের বিনায়েকপুর এলাকার সন্ধ্যা নদী থেকে এমবি জাহানারা ও এমবি মা-২ নামের দুটি ফিশিংবোট আটক করে। তাতে তল্লাশির পর প্রতি বোটে ৫৪০ বস্তা করে মোট ১০৮০ বস্তায় ৬৪ হাজার ৮০০ কেজি শুকনা সুপারি পাওয়া যায়। বাজারদর অনুযায়ী এর আনুমানিক মূল্য এক কোটি ৪৯ লাখ চার হাজার টাকা।
এ সময় ১২ ব্যারেল জ্বালানি তেল, জালসহ দুই কোটি ৬৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকার মালামাল জব্দ করা হয়।শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে এসব সুপারি ভারতে পাচারের বিষয়টি স্পষ্ট হলে বোটসহ তিনজনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আটককৃতদের ভাষ্য মতে, তুষখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান হাওলাদার (৬০) এই পাচারের মূলহোতা। সে ওই এলাকার হোসেন আলী হাওলাদারের ছেলে।
পুুলিশ জানায়, মামলার ১ নম্বর আসামি হারুন হাওলাদার একাধিক মামলার আসামি।সে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার দণ্ডে দণ্ডিত। ২ নম্বর আসামি অলি হাওলাদারের বিরুদ্ধে মঠবাড়ীয়া থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান দীর্ঘদিন যাবৎ শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন মালামাল ভারতে পাচারে সম্পৃক্ত রয়েছে।
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম ছরওয়ার বলেন, আটককৃতরা কর ফাঁকি দিয়ে নদীপথে অবৈধভাবে ভারতে সুপারি পাচার করছিল। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মামলার ৪ নম্বর আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান হাওলাদার এর মূলহোতা।মালামাল জব্দ করে নিয়মিত মামলা রুজু শেষে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।