রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসায় ভাসছেন বরিশালের দুই জনপ্রতিনিধি

- আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪
- / ২১৫ বার পড়া হয়েছে

রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্বারে গিয়ে ফেসবুকে প্রশংসায় ভাসছেন বরিশাল সদর উপজেলার নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুইবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি।কেউ কেউ বলছেন, ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনির জন্য আমরা গর্বিত।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছিলেন বরিশাল নগরী ও সদর উপজেলার নিন্মাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ।এমন পানি কয়েক বছরেও দেখেননি বরিশালের মানুষ। এসব পানিবন্দী মানুষের পাশে দাড়িয়ে সাড়া ফেলেছিলেন বরিশালের দুই তরুণ জনপ্রতিনিধি। জানা যায়, রেমালের আঘাত আনার পরে ২৭ মে বরিশালের বিভিন্ন এলাকার পানিবন্দী মানুষের কাছে ছুটে যান নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন।
তিনি প্রচণ্ড ঝড়ের মধ্যেই শুকনো খাবার নিয়ে পানিবন্দী মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটেছেন। এমন কি নিজ হাতে চেষ্টা করেছেন ক্ষতিগ্রস্তদের মালামাল উদ্ধার করে দিতে।ঘূর্ণিঝড় শেষেও বিভিন্ন ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজখবর নিতে ছুটে যান তিনি। এসময় তিনি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদরের এমপি জাহিদ ফারুক শামীমকে অবহিত করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।তিনি তখন বলেন, আপনাদের দুঃখ দুর্দশার কথা এমপি মগেহাদয়কে অবহিত করব। আশা করি তিনি আপনাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ে বরিশাল নগরীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় ৫ নং ওয়ার্ড পলাশপুর এলাকার বাসিন্দাদের। কীর্তনখোলা নদীর পাশে এই ওয়ার্ডটি হওয়ায় নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথেই পানিতে তলিয়ে যায় এই ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি।বন্যা শুরুর পর থেকেই ওয়ার্ডবাসীর ঘেরে ঘরে গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি।
স্থানীয় দুটি স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করেন পানিবন্দী মানুষদের। সেখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাতের খাবারের ব্যবস্থাও করেন কাউন্সিলর রনি।তবে মানুষ আক্ষেপ করে বলেন, বন্যার সময়ে কাউন্সিলর ব্যাতিত তাদের জন্য কেউ কোনো সহযোগিতা করেনি।কাউন্সিলর রনি বলেন, আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। আমার এলাকার মানুষের পাশে দাড়ানো আমার নৈতিক দায়িত্ব ছিল।