যেকোনো হামলা রুখতে এগিয়ে যাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

- আপডেট সময় : ০১:৫৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
- / ৯৬ বার পড়া হয়েছে

সংখ্যালঘু কিংবা সাধারণ মানুষের ওপর বরিশাল অঞ্চলের মধ্যে যেখানে হামলা হবে সেখানেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তরা গিয়ে পৌঁছাবেন।
রোববার (১১ জুলাই) রাতে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল এর সমন্বয়ক অর্পিতা নন্দী বন্নি।
তিনি বলেন, মন্দির-মসজিদসহ যেখানেই হামলা হোক না কেন সেখানে আমরা যাব এবং যেটুকু সহযোগিতা করা দরকার সেটি করব। বাজার মনিটরিং, ট্র্যাফিক ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন জায়গায় আমরা অবদান রাখার চেষ্টা করেছি। আবার কোথাও কোনো সমস্যা হলে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চটুকু করেছি।
পুলিশের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা পুলিশের সাথে আছি, তাদের কোনো ভয় নেই। আমরা পুলিশের সবাইকে বলতে চাই আপনারা দ্রুত সবাই কর্মে চলে আসুন, দায়িত্ব পালন করুন। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা আমাদের একার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়, এখানে আইনের কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন। আমরা কোনো সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি চাই না, সকল ধর্মের জনসাধারণের সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই।
এদিকে বরিশালে সম্প্রতি কিছু কমিটি প্রকাশ নিয়ে সাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, ৫ আগস্টের পরে বরিশালের কিছু কলেজ বা মহানগরের নামে কমিটি করা হচ্ছে। যা কেন্দ্র থেকে আমাদের অবহিত করেছে এবং বলেছে ৫ তারিখের পরে যত কমিটির কথা বলা হচ্ছে সব অবৈধ, এদের কোনো অস্তিত্ব নেই।
এ বিষয়ে সমন্বয়ক রাইজুল ইসলাম ছাকিব বলেন, ৫ আগস্ট আমাদের দেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে। এরপরে অনেক ক্যাম্পাস ও প্রতিষ্ঠানে আলাদাভাবে স্ব-ঘোষিত কমিটি দিচ্ছে। আর এ বিষয়টি আমরা অনেকেই শুনছি, কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশালসহ কেন্দ্রীয়ভাবে এ সকল কমিটির অনুমোদন নেই। কেন্দ্র থেকে এ বিষয়ে ঘোষণা হওয়ার পর আমরা বলতে পারবো কে কোথায় আছে। স্বাধীনতা পাওয়ার আগে যে কমিটি হয়েছিল তা এখনও বহাল আছে এবং কেন্দ্র নতুন নতুন করে অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত থাকবে।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হুজাইফা রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন স্বতন্ত্র এবং স্বাধীন, আমরা আমাদের মত কাজ করছি এবং করব।
বরিশালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশালের সমন্বায়ক ও শিক্ষার্থীরা বদ্ধ পরিকর বলেও জানান তিনি।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল এর পক্ষ থেকে প্রতিটি থানায় টিম দেওয়া হয়েছে। তারা পুলিশ সদস্যদের সাথে কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে।
অপরদিকে বিকেলে নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে চলে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল এর সমন্বয়করা। তারা জানান, ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে বরিশালে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের যারা নির্লিপ্ত ছিল, কথা বলেনি তারা ছিলেন। এমনকি তারা গত ৩১ জুলাই কোর্ট চত্বরের সামনে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনাতেও নীরব ভূমিকা রেখেছেন। তাই তাদের সাথে বসার সুযোগ না থাকায় সমন্বয়করা চলে আসেন।