০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মামলার বোঝা কাঁধে নিয়েও রাজপথে সরব ছিলেন বরিশালের ছাত্রনেতা সবুজ আকন

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৪:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৭৯ বার পড়া হয়েছে

২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী সরকারের আমলের ১৫ বছরে ৩২টি রাজনৈতিক মামলা দিয়েও রাজপথ থেকে সরাতে পারেনি বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি সবুজ আকনকে।

তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির ডাকা প্রতিটি স্বৈরাচার সরকার বিরোধী আন্দোলনে কর্মীদের সাথে নিয়ে রাজপথে সরব ছিলেন। ফলে বারবার কারাবরণ করতে হয়েছে তাকে। ৩২ টি মামলায় তাকে ১০ বার গ্রেফতার করা হয়েছে। জেল খেটেছেন মোট ৭১১ দিন। বর্তমানে তিনি ২৭ টি মামলায় নিয়মিত হাজিরা দিয়ে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ রাষ্ট্রবিরোধী মামলায় বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সবুজ আকনকে ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর বিকেলে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৮ এর একটি দল। (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলমের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বরের অবরোধ কর্মসূচিতে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সবুজ আকন ৬০/৭০ জন কর্মী নিয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাকা রাস্তার ওপর সরকারবিরোধী শ্লোগান দিয়ে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় তারা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় ও গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় বরিশাল বিমানবন্দর থানা পুলিশ ‘স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট-১৯৭৪’ এর ধারা-১৫(৩) অনুযায়ী মামলা করে। সেই মামলায় সবুজ আকনকে গ্রেফতার করা হয়।

২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রহমতপুর ব্রীজ এলাকা থেকে তাকে পুলিশের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করে পিটিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে এয়ারপোর্ট থানাপুলিশ। ওই মামলায় দীর্ঘদিন জেল হাজতে ছিলেন সবুজ আকন। পরে জামিনে বের হয়ে পা ভাঙ্গা অবস্থায় আবারো সরকার বিরোধী আন্দোলনে দেখা যায় তাকে।

সরকার বিরোধী আন্দোলন মানেই পুলিশ ও আওয়ামী লীগের আতংকের নাম হয়ে ওঠে সবুজ আকন।

জানা যায়, মামলা হামলায় যখন বরিশাল বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা জর্জরিত। যখন অনেক হেভিওয়েট নেতা- কর্মী রাজ পথকে ভয় পেত তখনও সবুজ আকন তার সমার্থকদের নিয়ে রাজপথে মশাল মিছিল, ঝটিকা মিছিল, গাছ ফেলে রাস্তা অবোরধ, পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে দাবী আদায়ের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলো।

সর্বশেষ বেশ কিছু ভিডিওতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রতিদিন রাজপথে থেকে বরিশালের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সহযোগীতা ও রসদ যোগাতে দেখাগেছে তাকে।

সবুজ আকন বর্তমানে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এর আগে বরিশাল কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ত্যাগী নেতাকর্মীদের সুখে দুঃখে সবসময় পাশে থাকায় সবুজ আকনকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হিসাবে দেখতে চায় তৃনমুল।

এদিকে সবুজ আকন বলেন, আমি শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর আদর্শে অনুপ্রেরিত হয়ে স্কুল জীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পরি। প্রথমে বড় ভাইদের সাথে মিছিল মিটিংয়ে যেতাম। পরে বরিশাল কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে ও বর্তমানে জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। চেষ্টা করেছি স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে থাকার। বিনিময়ে ৩২টি মামলার আসামি হয়েছি। কারাবাস করেছি অনেকবার। দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের প্রতিটি সিদ্ধান্ত আমার সিরধার্য। কেন্দ্রীয় বিএনপির ডাকা সকল কর্মসূচিতে আমি সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। কখনও মামলা হামলার ভয়ে পিছ-পা হয়নি। আশা করি হাই কমান্ড সব কিছু বিবেচনায় আমাকে মূল্যায়ন করবে।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

মামলার বোঝা কাঁধে নিয়েও রাজপথে সরব ছিলেন বরিশালের ছাত্রনেতা সবুজ আকন

আপডেট সময় : ০৪:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী সরকারের আমলের ১৫ বছরে ৩২টি রাজনৈতিক মামলা দিয়েও রাজপথ থেকে সরাতে পারেনি বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি সবুজ আকনকে।

তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির ডাকা প্রতিটি স্বৈরাচার সরকার বিরোধী আন্দোলনে কর্মীদের সাথে নিয়ে রাজপথে সরব ছিলেন। ফলে বারবার কারাবরণ করতে হয়েছে তাকে। ৩২ টি মামলায় তাকে ১০ বার গ্রেফতার করা হয়েছে। জেল খেটেছেন মোট ৭১১ দিন। বর্তমানে তিনি ২৭ টি মামলায় নিয়মিত হাজিরা দিয়ে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ রাষ্ট্রবিরোধী মামলায় বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সবুজ আকনকে ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর বিকেলে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৮ এর একটি দল। (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলমের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বরের অবরোধ কর্মসূচিতে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সবুজ আকন ৬০/৭০ জন কর্মী নিয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাকা রাস্তার ওপর সরকারবিরোধী শ্লোগান দিয়ে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় তারা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় ও গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় বরিশাল বিমানবন্দর থানা পুলিশ ‘স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট-১৯৭৪’ এর ধারা-১৫(৩) অনুযায়ী মামলা করে। সেই মামলায় সবুজ আকনকে গ্রেফতার করা হয়।

২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রহমতপুর ব্রীজ এলাকা থেকে তাকে পুলিশের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করে পিটিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে এয়ারপোর্ট থানাপুলিশ। ওই মামলায় দীর্ঘদিন জেল হাজতে ছিলেন সবুজ আকন। পরে জামিনে বের হয়ে পা ভাঙ্গা অবস্থায় আবারো সরকার বিরোধী আন্দোলনে দেখা যায় তাকে।

সরকার বিরোধী আন্দোলন মানেই পুলিশ ও আওয়ামী লীগের আতংকের নাম হয়ে ওঠে সবুজ আকন।

জানা যায়, মামলা হামলায় যখন বরিশাল বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা জর্জরিত। যখন অনেক হেভিওয়েট নেতা- কর্মী রাজ পথকে ভয় পেত তখনও সবুজ আকন তার সমার্থকদের নিয়ে রাজপথে মশাল মিছিল, ঝটিকা মিছিল, গাছ ফেলে রাস্তা অবোরধ, পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে দাবী আদায়ের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলো।

সর্বশেষ বেশ কিছু ভিডিওতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রতিদিন রাজপথে থেকে বরিশালের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সহযোগীতা ও রসদ যোগাতে দেখাগেছে তাকে।

সবুজ আকন বর্তমানে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এর আগে বরিশাল কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ত্যাগী নেতাকর্মীদের সুখে দুঃখে সবসময় পাশে থাকায় সবুজ আকনকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হিসাবে দেখতে চায় তৃনমুল।

এদিকে সবুজ আকন বলেন, আমি শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর আদর্শে অনুপ্রেরিত হয়ে স্কুল জীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পরি। প্রথমে বড় ভাইদের সাথে মিছিল মিটিংয়ে যেতাম। পরে বরিশাল কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে ও বর্তমানে জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। চেষ্টা করেছি স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে থাকার। বিনিময়ে ৩২টি মামলার আসামি হয়েছি। কারাবাস করেছি অনেকবার। দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের প্রতিটি সিদ্ধান্ত আমার সিরধার্য। কেন্দ্রীয় বিএনপির ডাকা সকল কর্মসূচিতে আমি সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। কখনও মামলা হামলার ভয়ে পিছ-পা হয়নি। আশা করি হাই কমান্ড সব কিছু বিবেচনায় আমাকে মূল্যায়ন করবে।