১২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মঠবাড়িয়া পৌরশহরের অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৬:১৬:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৬১ বার পড়া হয়েছে

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহর যানজট মুক্তকরণ ও পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষে অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের চৌরাস্তার মোড় ফলপট্রি ও ভূমি অফিস-সংলগ্ন বালুর মাঠে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো গুড়িয়ে দেয় প্রশাসন।

এর আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে প্রশাসন ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলেও দখলদাররা তাদের স্থাপনা সরিয়ে না নেয়ায় প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো: আব্দুল কাইয়ূম এর নেতৃত্বে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: সৈকত রায়হান এ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় শহরের ভূমি অফিস-সংলগ্ন চৌরাস্তার মোড়ে ফলপট্রিতে গড়ে তোলা পাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়। পরে শহরের বালুর মাঠের আশপাশ গড়ে তোলা অবৈধস্থাপনাগুলো গুড়িয়ে দিয়ে বালুর মাঠটি দখলমুক্ত করা হয়। প্রথম দিনে অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, শহরের চৌরাস্তার মোড়ে কয়েকযুগ আগে ক্ষুদ্র পান ব্যবসায়ীদের জীবনজীবিকার স্বার্থে প্রথমে স্টল বরাদ্দ দেয় প্রশাসন। কিন্তু একটি প্রভাবশালী চক্র পান দোকানীদের কৌশলে হটিয়ে সেখানে পাকাস্থাপনা গড়ে তুলে ও নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানের নামে ভাড়া দেয়। চৌরাস্তার এ মোড়ে দোকানপাট দখল করায় সড়ক সঙ্কুচিত হয়ে পড়ায় নিত্য শহরে যানচট সৃষ্টি হয়। অপরদিকে গত ১০ বছর আগে শহরের ভূমি অফিস-সংলগ্ন শতবছরের পুরানো রিজার্ভ পুকুর বালু ভরাট করে দখল করে পৌরসভা। সেখানে মার্কেট নির্মাণের কথা বলে স্টল বরাদ্দ দেয়। কিন্তু এ নিয়ে আদালতে মামলা হওয়ায় মার্কেট নির্মাণ স্থগিত হয়ে যায়। বর্তমানে এ বালুর মাঠের আশপাশ জুড়ে অবৈধ শতাধিক স্থাপনা গয়ে তোলা হয়। এছাড়া শহরের সকল বর্জ্য বালুর মাঠে ফেলে পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ে। এ নিয়ে পৌরবাসীর ভোগান্তির শেষ ছিল না।

মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো: আব্দুল কাইয়ূম বলেন, শহরের নিত্য যানজট নিরসন ও পরিশে সুরক্ষায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুর করা হয়েছে। প্রথম দিনে অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। শহর স্বাস্থ্যকর ও দৃষ্টিনন্দন রাখতে পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান অব্যহত থাকবে।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

মঠবাড়িয়া পৌরশহরের অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

আপডেট সময় : ০৬:১৬:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহর যানজট মুক্তকরণ ও পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষে অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের চৌরাস্তার মোড় ফলপট্রি ও ভূমি অফিস-সংলগ্ন বালুর মাঠে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো গুড়িয়ে দেয় প্রশাসন।

এর আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে প্রশাসন ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলেও দখলদাররা তাদের স্থাপনা সরিয়ে না নেয়ায় প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো: আব্দুল কাইয়ূম এর নেতৃত্বে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: সৈকত রায়হান এ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় শহরের ভূমি অফিস-সংলগ্ন চৌরাস্তার মোড়ে ফলপট্রিতে গড়ে তোলা পাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়। পরে শহরের বালুর মাঠের আশপাশ গড়ে তোলা অবৈধস্থাপনাগুলো গুড়িয়ে দিয়ে বালুর মাঠটি দখলমুক্ত করা হয়। প্রথম দিনে অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, শহরের চৌরাস্তার মোড়ে কয়েকযুগ আগে ক্ষুদ্র পান ব্যবসায়ীদের জীবনজীবিকার স্বার্থে প্রথমে স্টল বরাদ্দ দেয় প্রশাসন। কিন্তু একটি প্রভাবশালী চক্র পান দোকানীদের কৌশলে হটিয়ে সেখানে পাকাস্থাপনা গড়ে তুলে ও নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানের নামে ভাড়া দেয়। চৌরাস্তার এ মোড়ে দোকানপাট দখল করায় সড়ক সঙ্কুচিত হয়ে পড়ায় নিত্য শহরে যানচট সৃষ্টি হয়। অপরদিকে গত ১০ বছর আগে শহরের ভূমি অফিস-সংলগ্ন শতবছরের পুরানো রিজার্ভ পুকুর বালু ভরাট করে দখল করে পৌরসভা। সেখানে মার্কেট নির্মাণের কথা বলে স্টল বরাদ্দ দেয়। কিন্তু এ নিয়ে আদালতে মামলা হওয়ায় মার্কেট নির্মাণ স্থগিত হয়ে যায়। বর্তমানে এ বালুর মাঠের আশপাশ জুড়ে অবৈধ শতাধিক স্থাপনা গয়ে তোলা হয়। এছাড়া শহরের সকল বর্জ্য বালুর মাঠে ফেলে পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ে। এ নিয়ে পৌরবাসীর ভোগান্তির শেষ ছিল না।

মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো: আব্দুল কাইয়ূম বলেন, শহরের নিত্য যানজট নিরসন ও পরিশে সুরক্ষায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুর করা হয়েছে। প্রথম দিনে অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। শহর স্বাস্থ্যকর ও দৃষ্টিনন্দন রাখতে পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান অব্যহত থাকবে।