১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলায় ৯ দিন আগে ট্রলারডুবি : ছেলের পর বাবার লাশ উদ্ধার

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৭:১১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৮৯ বার পড়া হয়েছে

ভোলার মেঘনা নদীতে বাবাও ছেলেকে নিয়ে ট্রলারডুবির নয় দিন পর আব্দুল রাজ্জাক সরদারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে, তার ছেলে পারভেজ সরদারের লাশ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেঘনা নদীর তুলাতলি মাছঘাট পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ইলিশা পয়েন্টের ফেরিঘাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তার ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ইলিশা নৌ-থানার ইন্সপেক্টর বিদ্যুৎ বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মেঘনা নদীর তুলাতলি পয়েন্ট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় লাশটি দেখে জেলেরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে। এরপর পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আব্দুল রাজ্জাক সরদারের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

উল্লেখ, গত রোববার (২১ জানুয়ারি) দিনগত মধ্যরাতে মনপুরা থেকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া মালবাহী ট্রলারটি ইলিশার জোরখাল পয়েন্টে প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ভাঙ্গারি মালামালসহ সাত শ্রমিক ছিল। তাদের মধ্যে দু’জন বাবা ও ছেলে। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার সময় পাঁচ শ্রমিক সাঁতরে জেলে ট্রলারের সহায়তায় ওপরে উঠে আসতে পারলেও আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে পারভেজ সরদার ইঞ্জিনরুমে থাকায় তারা বের হতে পারেননি। কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা সাত শ্রমিক বরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ট্রলারটির মালিক ছিলেন ফারুক মাঝি। ফারুক মাঝি ভাঙ্গারি মালামালের ব্যবসা করেন। তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে নদী পথে ট্রলারের মাধ্যমে মালামাল পরিবহন করেন। ডুবে যাওয়ার সময় তার ট্রলারে প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল ছিল।

ঘটনার পর সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল থেকে কোস্টগার্ড ও ফায়ারসার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ-এর যৌথ ডুবুরি টিম উদ্ধার অভিযানে নামে। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বন্ধ রাখে। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া যায়। বিআইডব্লিউটিএ ট্রলারটি উদ্ধার করার পর তাতে বাবা-ছেলের লাশ পাওয়া যায়নি।

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

ভোলায় ৯ দিন আগে ট্রলারডুবি : ছেলের পর বাবার লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৭:১১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

ভোলার মেঘনা নদীতে বাবাও ছেলেকে নিয়ে ট্রলারডুবির নয় দিন পর আব্দুল রাজ্জাক সরদারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে, তার ছেলে পারভেজ সরদারের লাশ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেঘনা নদীর তুলাতলি মাছঘাট পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ইলিশা পয়েন্টের ফেরিঘাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তার ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ইলিশা নৌ-থানার ইন্সপেক্টর বিদ্যুৎ বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মেঘনা নদীর তুলাতলি পয়েন্ট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় লাশটি দেখে জেলেরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে। এরপর পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আব্দুল রাজ্জাক সরদারের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

উল্লেখ, গত রোববার (২১ জানুয়ারি) দিনগত মধ্যরাতে মনপুরা থেকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া মালবাহী ট্রলারটি ইলিশার জোরখাল পয়েন্টে প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ভাঙ্গারি মালামালসহ সাত শ্রমিক ছিল। তাদের মধ্যে দু’জন বাবা ও ছেলে। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার সময় পাঁচ শ্রমিক সাঁতরে জেলে ট্রলারের সহায়তায় ওপরে উঠে আসতে পারলেও আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে পারভেজ সরদার ইঞ্জিনরুমে থাকায় তারা বের হতে পারেননি। কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা সাত শ্রমিক বরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ট্রলারটির মালিক ছিলেন ফারুক মাঝি। ফারুক মাঝি ভাঙ্গারি মালামালের ব্যবসা করেন। তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে নদী পথে ট্রলারের মাধ্যমে মালামাল পরিবহন করেন। ডুবে যাওয়ার সময় তার ট্রলারে প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল ছিল।

ঘটনার পর সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল থেকে কোস্টগার্ড ও ফায়ারসার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ-এর যৌথ ডুবুরি টিম উদ্ধার অভিযানে নামে। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বন্ধ রাখে। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া যায়। বিআইডব্লিউটিএ ট্রলারটি উদ্ধার করার পর তাতে বাবা-ছেলের লাশ পাওয়া যায়নি।