০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোলায় বিএনপি অফিসে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৬

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০২:০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৭২ বার পড়া হয়েছে

ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বিএনপি অফিসে হামলা, ভাঙচুর করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের হাওলাদার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

ভোলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এরইমধ্যে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

হামলায় বিএনপির ৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়ছে বলে জানা যায়। আহতরা হলেন আব্দুল করিম মোল্লা (৩০), মাহামুদুল হাছান রিপন (৪০), নিরব মোল্লা (৩৮), এমরান লাট (৩০), শাহীন (৩৮) ও নাছির (৩৮)।

জানা যায়, ১৯৯৪ সালে স্থানীয় বাজারের সড়ক ও জনপথ বিভাগের পরিত্যক্ত জায়গায় একটি আধা পাকা ঘর নির্মাণ করে বিএনপির অফিস পরিচালনা শুরু করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা ঘরটি দখল করে দীর্ঘ ১৭ বছর তাদের কার্যক্রম চালায়। গত ৫ আগস্ট দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপি পুনরায় তাদের অফিসটি দখলে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক সিডু মাঝির নেতৃত্বে ইসমাইল, ইউসুফ, ইউনুছ, ইব্রাহিম, নিজাম, আল আমিন, মনা ও আক্তার অতর্কিতভাবে বিএনপি অফিসে ঢুকে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা বাধা দিলে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে ৬ জন আহত হন। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পরপর ভোলা থানার ওসি তদন্ত সিরাজ ও সেকেন্ড অফিসার নাজমুল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রিপন মিলেটারি ও ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাজল হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, গত ৩০ বছর পর্বে স্থানীয় সাধারণ মানুষ নিজেদের পকেটের টাকায় সরকারি খাস জমিতে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এই অফিসটি তৈরি করে। সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা অতর্কিত হামলা চালিয়ে অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক সিডু মাঝিসহ অন্যদের একাধিকবার ফোন দিলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

ভোলা মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

ভোলায় বিএনপি অফিসে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৬

আপডেট সময় : ০২:০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বিএনপি অফিসে হামলা, ভাঙচুর করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের হাওলাদার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

ভোলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এরইমধ্যে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

হামলায় বিএনপির ৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়ছে বলে জানা যায়। আহতরা হলেন আব্দুল করিম মোল্লা (৩০), মাহামুদুল হাছান রিপন (৪০), নিরব মোল্লা (৩৮), এমরান লাট (৩০), শাহীন (৩৮) ও নাছির (৩৮)।

জানা যায়, ১৯৯৪ সালে স্থানীয় বাজারের সড়ক ও জনপথ বিভাগের পরিত্যক্ত জায়গায় একটি আধা পাকা ঘর নির্মাণ করে বিএনপির অফিস পরিচালনা শুরু করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা ঘরটি দখল করে দীর্ঘ ১৭ বছর তাদের কার্যক্রম চালায়। গত ৫ আগস্ট দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপি পুনরায় তাদের অফিসটি দখলে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক সিডু মাঝির নেতৃত্বে ইসমাইল, ইউসুফ, ইউনুছ, ইব্রাহিম, নিজাম, আল আমিন, মনা ও আক্তার অতর্কিতভাবে বিএনপি অফিসে ঢুকে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা বাধা দিলে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে ৬ জন আহত হন। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পরপর ভোলা থানার ওসি তদন্ত সিরাজ ও সেকেন্ড অফিসার নাজমুল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রিপন মিলেটারি ও ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাজল হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, গত ৩০ বছর পর্বে স্থানীয় সাধারণ মানুষ নিজেদের পকেটের টাকায় সরকারি খাস জমিতে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এই অফিসটি তৈরি করে। সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা অতর্কিত হামলা চালিয়ে অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক সিডু মাঝিসহ অন্যদের একাধিকবার ফোন দিলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

ভোলা মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।