১২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেতাগীতে ভূতুড়ে বিলে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের ক্ষোভ

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৬৪ বার পড়া হয়েছে
বরগুনার বেতাগী পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলোর পল্লী বিদ্যুতের মনগড়া ভূতুড়ে বিল নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে তোলপাড় চলছে। পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত অনেকেই বলেছেন, সার্ভিস তারে ব্যাপক বিদ্যুৎ ব্যয় হয়, যা মিটার রিডিংয়ে দেখা যায় না। ফলে পল্লী বিদ্যুতের বিল বেশি আসায় এ উপজেলার গ্রাহকদের মধ্যে হতাশ ও তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বেতাগী পৌরসভা ও উপজেলার সর্বমোট ৩৬ হাজার গ্রাহক রয়েছে।

অতিরিক্ত বিল আসায় গ্রাহকদের মধ্যে এ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ অতিরিক্ত বিল কিভাবে পরিশোধ করা হবে বা এর সংশোধনের কোনো সদুত্তর পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। তবে পল্লী বিদ্যুতের মনগড়া বিল নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত জুন, ২০২৪ মাসের বিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাতে ১৪৮ জনের অতিরিক্ত বিলের সমাধান করেছেন।বেতাগী ওয়াপদা রোডের মো. মজিবুর রহমানের আবাসিক বাসাবাড়ির কোনোটিতে সাড়ে চার হাজার টাকা বিল এসেছে, যা আগের বিলের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি।

মজিবুর রহমানের ওই আবাসিক বাসায় তৃতীয় তলার একটি ইউনিটে থাকেন কালের কণ্ঠ’র প্রতিনিধি স্বপন কুমার ঢালী।তিনি জানান, তিনি তার স্ত্রীর চিকিৎসাজনিত কারণে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে ভারতে যান এবং এক মাস সেখান অবস্থান করেন। কিন্তু সেই মাসে কোনো বাল্ব, ফ্যান, টিভি, ফ্রিজসহ বিদ্যুতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো কিছুই ব্যবহার করা হয়নি। অথচ ওই আগস্ট মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে এক হাজার ৪৫৪ টাকা।

এই মিটারে চলতি বছরের মে মাসে ব্যবহৃত ইউনিট ৭০, বিল এসেছে ৪৩২ টাকা। একই মিটারে গত জুন মাসে ব্যবহৃত ইউনিট এসেছে ১৪৫ এবং বিল ধরা হয়েছে ৮১০ টাকা। যা আগের তুলনায় অনেক বেশি ইউনিট ধরা হয়েছে।উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের পুটিয়াখালী গ্রামের গ্রাহক বাদল বেপারী বলেন, ‘আমরা পল্লী বিদ্যুতের এ মনগড়া বিল নিয়ে সমস্যার মধ্যে আছি, অতিরিক্ত বিলের একটা সমাধান করা দরকার।’

অনেক গ্রাহক জানান, আগের বিল পরিশোধ করা সত্ত্বেও বর্তমান বিলের সঙ্গে যোগ করে বকেয়া বিল হিসাবে তৈরি করা হয়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এমন মনগড়া বিল নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।বেতাগী পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ইনচার্জ প্রকৌশলী আবুল বাশার বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে ব্যবহারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল বেশি মনে হচ্ছে। কোনো কারণে বিল রিডার বাড়িতে না গিয়ে বা ভুলবশত বিল এন্ট্রি করে থাকলে পরে সমন্বয় করা হবে। আমরা পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি।’

পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বেতাগী উপ-আঞ্চলিক অফিসের এজিএম দুর্যোধন বালা বলেন, ‘আমাদের পল্লী বিদ্যুতে ভূতুড়ে ও ভুয়া বিলের সুযোগ নেই। মিটারের রিডিংয়ের চেয়ে অতিরিক্ত বিল হয়ে থাকলে এসব গ্রাহকের বিল খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

বেতাগীতে ভূতুড়ে বিলে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের ক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৪:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
বরগুনার বেতাগী পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলোর পল্লী বিদ্যুতের মনগড়া ভূতুড়ে বিল নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে তোলপাড় চলছে। পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত অনেকেই বলেছেন, সার্ভিস তারে ব্যাপক বিদ্যুৎ ব্যয় হয়, যা মিটার রিডিংয়ে দেখা যায় না। ফলে পল্লী বিদ্যুতের বিল বেশি আসায় এ উপজেলার গ্রাহকদের মধ্যে হতাশ ও তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বেতাগী পৌরসভা ও উপজেলার সর্বমোট ৩৬ হাজার গ্রাহক রয়েছে।

অতিরিক্ত বিল আসায় গ্রাহকদের মধ্যে এ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ অতিরিক্ত বিল কিভাবে পরিশোধ করা হবে বা এর সংশোধনের কোনো সদুত্তর পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। তবে পল্লী বিদ্যুতের মনগড়া বিল নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত জুন, ২০২৪ মাসের বিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাতে ১৪৮ জনের অতিরিক্ত বিলের সমাধান করেছেন।বেতাগী ওয়াপদা রোডের মো. মজিবুর রহমানের আবাসিক বাসাবাড়ির কোনোটিতে সাড়ে চার হাজার টাকা বিল এসেছে, যা আগের বিলের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি।

মজিবুর রহমানের ওই আবাসিক বাসায় তৃতীয় তলার একটি ইউনিটে থাকেন কালের কণ্ঠ’র প্রতিনিধি স্বপন কুমার ঢালী।তিনি জানান, তিনি তার স্ত্রীর চিকিৎসাজনিত কারণে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে ভারতে যান এবং এক মাস সেখান অবস্থান করেন। কিন্তু সেই মাসে কোনো বাল্ব, ফ্যান, টিভি, ফ্রিজসহ বিদ্যুতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো কিছুই ব্যবহার করা হয়নি। অথচ ওই আগস্ট মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে এক হাজার ৪৫৪ টাকা।

এই মিটারে চলতি বছরের মে মাসে ব্যবহৃত ইউনিট ৭০, বিল এসেছে ৪৩২ টাকা। একই মিটারে গত জুন মাসে ব্যবহৃত ইউনিট এসেছে ১৪৫ এবং বিল ধরা হয়েছে ৮১০ টাকা। যা আগের তুলনায় অনেক বেশি ইউনিট ধরা হয়েছে।উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের পুটিয়াখালী গ্রামের গ্রাহক বাদল বেপারী বলেন, ‘আমরা পল্লী বিদ্যুতের এ মনগড়া বিল নিয়ে সমস্যার মধ্যে আছি, অতিরিক্ত বিলের একটা সমাধান করা দরকার।’

অনেক গ্রাহক জানান, আগের বিল পরিশোধ করা সত্ত্বেও বর্তমান বিলের সঙ্গে যোগ করে বকেয়া বিল হিসাবে তৈরি করা হয়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এমন মনগড়া বিল নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।বেতাগী পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ইনচার্জ প্রকৌশলী আবুল বাশার বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে ব্যবহারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল বেশি মনে হচ্ছে। কোনো কারণে বিল রিডার বাড়িতে না গিয়ে বা ভুলবশত বিল এন্ট্রি করে থাকলে পরে সমন্বয় করা হবে। আমরা পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি।’

পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বেতাগী উপ-আঞ্চলিক অফিসের এজিএম দুর্যোধন বালা বলেন, ‘আমাদের পল্লী বিদ্যুতে ভূতুড়ে ও ভুয়া বিলের সুযোগ নেই। মিটারের রিডিংয়ের চেয়ে অতিরিক্ত বিল হয়ে থাকলে এসব গ্রাহকের বিল খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’