বাকেরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভরসা মোমবাতির আলো

- আপডেট সময় : ০৪:০২:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪
- / ১৭৭ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জেনারেটর দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মধ্যে জেনারেটর না থাকায় বিপাকে পড়েছেন রোগী ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা। রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে চিকিৎসক ও নার্সদের টর্চ, মোবাইল ফোনের আলো কিংবা মোমবাতি জ্বালিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে।
তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে আইপিএসের ব্যবহার করা হলেও ব্যাটারির ক্ষমতা কম থাকায় বেশিক্ষণ আলো জ্বলে না। এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে দীর্ঘদিন জেনারেটরের যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে থাকায় চালানো যাচ্ছে না। এমনকি জেনারেটর চালানোর লোকবলও নেই। তবে আইপিএসের ব্যবস্থা থাকলেও ব্যাটারি পাওয়ার কমে যাওয়ায় এখন আর তেমন কাজে লাগে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগীদের দুর্ভোগের চিত্র। বেশির ভাগ রোগীর পাশে মোবাইল ফোনের লাইট ও মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। নারী ওয়ার্ডে আলো নেই বললেই চলে। একটি মোমবাতি সেটিও নিভু নিভু। পুরুষ ওয়ার্ডে একটি এলইডি এসি ডিসি বাল্ব থাকলেও কিছুক্ষণ পরপর আলো জ্বলছে আর নিভছে। অন্ধকারেই রোগী ও তাদের স্বজনরা বসে আছেন মোমবাতি বা মোবাইল ফোনের লাইট জ্বালিয়ে।
জরুরি বিভাগের কক্ষেও একই অবস্থা। আইপিএসের ব্যাটারির পাওয়ার কম থাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জরুরি বিভাগের রুমেও আলো নেই। চিকিৎসকরা মোমবাতি জ্বালিয়ে বসে আছেন । নার্স-স্টাফদের ওয়ার্ডেও একই অবস্থা।
হাসপাতালে আসা আবুল হোসেন হাওলাদার নামের এক রোগী বলেন, একটুও আলো জ্বলে না। বিদ্যুৎ গেলে রাতে অন্ধকারেই ওষুধ খেতে হয়। এরইমধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে রোগীরা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালের অবস্থা খুবই খারাপ। পরিবেশ একটুও ভালো না।
নারী ওয়ার্ডের লিপি হাওলাদার নামে রোগীর এক স্বজন বলেন, দুইদিন আগে হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করিয়েছি। রোববার রাত থেকে ছোট একটা মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে রাখতে হয়। মোবাইলের লাইট ধরে রোগীকে খাবার খাওয়াতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক নাহিদ হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে রোববার থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় আইপিএসের ব্যবস্থা থাকলেও ব্যাটারির পাওয়ার কমে যাওয়ায় মোমবাতি জ্বালিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যতটুকু জানি জেনারেটরের যন্ত্রাংশ দীর্ঘদিন ধরে নাকি বিকল অবস্থায় আছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে চিকিৎসাসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মুনয়েম সাদ বলেন, হাসপাতালে একটি জেনারেটর রয়েছে নষ্ট অবস্থায়। আইপিএসের ব্যবস্থা আছে, তবে ব্যাটারির সমস্যার কারণে আলো জ্বলে না। আর আমি এখানে এসেছি মাস খানেক আগে। শুনেছি জেনারেটরের যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে আছে।