১২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশাল পোর্টরোডে মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর খানা নাই, সব হইবে খান হাবিবের কথায়!

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৬:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৬৬ বার পড়া হয়েছে

এডা পোর্ড রোড, এহানে আফজাল মেয়া, মন্ত্রী মিনিস্টার প্রধানমন্ত্রী’র খানা নাই। খান হাবিব যেয়া কইবে হেইয়াই হইবে। কথাগুলো দাম্ভিকতার সহিত বলছিলেন, বরিশাল পোর্টরোড মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি খান হাবিবের সহযোগী এনায়েত। তার এমন বক্তব্যে হতবাক ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, আবুল হাসেম হাওলাদারের ছেলে রাছেল পোর্টরোডে দীর্ঘদিন যাবত সবজি বিক্রি করে আসছেন।

১৬মার্চ শনিবার সকালে মৎস্যজীবী লীগের লীগের সভাপতি খান হাবিবের নির্দেশে সবজি বিক্রেতা রাছেলের দোকান দখল করতে যায় এনায়েতসহ ৪/৫ জন।
খান হাবিবের সহযোগী এনায়েত রাছেলকে দোকান সড়িয়ে নিতে বললে। রাছেল জানতে চায় কি কারনে দোকান সড়িয়ে নিতে হবে?।
সেসময় এনায়েত উচ্চস্বরে বলতে থাকেন খান হাবিব বলছে দোকান সড়াতে তাই তোকে এখান থেকে চলে যেতে হবে।

এনায়েতের এমন কথা শুনে রাছেল বলেন, আমি ইকটু আফজাল ভাইকে কল দেই তার সাথে কথা বলেন। রাছেলের এমন কথার পরিপেক্ষিতে খান হাবিবের সহযোগী এনায়েত বলতে থাকেন, এডা পোর্ড রোড, এহানে আফজাল মেয়া, মন্ত্রী মিনিস্টার প্রধানমন্ত্রী’র খানা নাই। খান হাবিব যেয়া কইবে হেইয়াই হইবে। এসময় ঘটনা স্থানে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে তাদের উপর চড়াও হয় এনায়েত। তিনি বলেন, ছবি তোলে তুলক দেখমু হানে কি হয়।

অবৈধ ভাবে দোকান দখলের কারনে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এমন মন্তব্যে হতবাক ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন।

এবিষয়ে পোর্ট রোড মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি খান হাবিব বলেন, এনায়েতকে আজকে থেকেই কাজ থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা সকলেই আওয়ামী লীগের লোক।

এবিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার এস আই আক্তার জানান, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হই। উভয় পক্ষকে থানায় আসতে বলা হয়েছে।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

বরিশাল পোর্টরোডে মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর খানা নাই, সব হইবে খান হাবিবের কথায়!

আপডেট সময় : ০৬:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

এডা পোর্ড রোড, এহানে আফজাল মেয়া, মন্ত্রী মিনিস্টার প্রধানমন্ত্রী’র খানা নাই। খান হাবিব যেয়া কইবে হেইয়াই হইবে। কথাগুলো দাম্ভিকতার সহিত বলছিলেন, বরিশাল পোর্টরোড মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি খান হাবিবের সহযোগী এনায়েত। তার এমন বক্তব্যে হতবাক ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, আবুল হাসেম হাওলাদারের ছেলে রাছেল পোর্টরোডে দীর্ঘদিন যাবত সবজি বিক্রি করে আসছেন।

১৬মার্চ শনিবার সকালে মৎস্যজীবী লীগের লীগের সভাপতি খান হাবিবের নির্দেশে সবজি বিক্রেতা রাছেলের দোকান দখল করতে যায় এনায়েতসহ ৪/৫ জন।
খান হাবিবের সহযোগী এনায়েত রাছেলকে দোকান সড়িয়ে নিতে বললে। রাছেল জানতে চায় কি কারনে দোকান সড়িয়ে নিতে হবে?।
সেসময় এনায়েত উচ্চস্বরে বলতে থাকেন খান হাবিব বলছে দোকান সড়াতে তাই তোকে এখান থেকে চলে যেতে হবে।

এনায়েতের এমন কথা শুনে রাছেল বলেন, আমি ইকটু আফজাল ভাইকে কল দেই তার সাথে কথা বলেন। রাছেলের এমন কথার পরিপেক্ষিতে খান হাবিবের সহযোগী এনায়েত বলতে থাকেন, এডা পোর্ড রোড, এহানে আফজাল মেয়া, মন্ত্রী মিনিস্টার প্রধানমন্ত্রী’র খানা নাই। খান হাবিব যেয়া কইবে হেইয়াই হইবে। এসময় ঘটনা স্থানে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে তাদের উপর চড়াও হয় এনায়েত। তিনি বলেন, ছবি তোলে তুলক দেখমু হানে কি হয়।

অবৈধ ভাবে দোকান দখলের কারনে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এমন মন্তব্যে হতবাক ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন।

এবিষয়ে পোর্ট রোড মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি খান হাবিব বলেন, এনায়েতকে আজকে থেকেই কাজ থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা সকলেই আওয়ামী লীগের লোক।

এবিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার এস আই আক্তার জানান, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হই। উভয় পক্ষকে থানায় আসতে বলা হয়েছে।