১০:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের ১১টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৭:০৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
  • / ২০১ বার পড়া হয়েছে

এবার ঈদে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের ১১টি স্থানকে যানজট ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থানে যাতে কোনভাবেই যানবাহন থেমে না থাকে সে জন্য বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ।

কোন টোল ঘরের কারণে যানজট সৃষ্টি হলে প্রয়োজনে সেখানে যানবাহনের টোল ফ্রি করে দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম।

ঈদ উল ফিতরে মহাসড়কে যানজট নিরসন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা জানান তিনি।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের তথ্য মতে, ‘গৌরনদীর ভুরঘাটা থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যন্ত ১৫৯ কিলোমিটার মহাসড়কের একাধিক স্থান রয়েছে অপেক্ষাকৃত সরু। যা এরই মধ্যে পুলিশের নজরে আনা হয়েছে বলে জানান সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান।

তিনি বলেন, ‘বরিশালের ১৫৯ কিলোমিটার মহাসড়ক ঘিরে একটি মহানগরি, দুটি জেলা, ১১টি উপজেলা, ১৭টি হাট বাজার রয়েছে। এর মধ্যে গৌরনদীর মাহিলারা, বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ, রূপাতলী ও সাগরদি এলাকা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এসব স্থানে যদি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সুদৃঢ় করা যায়, তবে এবারে ঈদ যাত্রায় কোথাও গাড়ির চাকা থামবে না, যাত্রা হবে নির্বিঘ্ন।

এদিকে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপ থেকে জানানো হয়েছে, ‘পূর্বে বরিশাল থেকে সর্বোচ্চ ২০টি নামে দেড় শতাধিক দূরপাল্লার গাড়ি চলতো। পদ্মা সেতু চালুর পর এখন ৫৫টি নামে প্রায় ৬০০ দূরপাল্লার গাড়ি চলছে। তবে ঈদের সময় এই সংখ্যা আরো দ্বিগুণের বেশি বেড়ে যায়। ফলে এই সময় গাড়ি চলাচলের হিসাব থাকে না। গাড়িগুলো কে কার আগে যাবে সেই প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে সড়কে অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের আগে পরে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ, সাগরদী ও রূপাতলী এলাকাসহ জেলার গৌরনদী, বাটাজোর, টরকী, ইচলাদি মিলিয়ে ১১টি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ হাজার যানবাহন অতিক্রম করে।

এর মধ্যে তিনটি স্থানে রয়েছে ব্রিজ টোলঘর। ঝুঁকিপূর্ণ এসব এলাকা চিহ্নিত করে ট্রাফিক পুলিশের সাথে অতিরিক্ত প্রায় সাড়ে তিন শত সাধারণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শুধুমাত্র ঈদে যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য।

জেলার পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এবারে যানজটকে জিরো ট্রলারেন্স হিসেবে দেখা হচ্ছে। যানজটের কারণে ঈদ যাত্রীরা যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সে দিকটাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। টোল প্লাজার কারণে ন্যূনতম যানজটের সৃষ্টি হলে প্রয়োজনে যানবাহনের টোল ফ্রি করে দেওয়া হবে। এই রমজানে সব ধরনের যানজট ঠেকাতে আমরা আমাদের ট্রাফিক ইউনিটের সাথে ১৫০ জন জনবল আলাদা ডিউটি দিয়েছি।

অপরদিকে সহনীয় ঈদ যাত্রাকে সামনে রেখে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ তিনটি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে ব্যস্ত এলাকাগুলোকে। এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনজন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারকে। তাদের নেতৃত্বে এরই মধ্যে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়া সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এবারের ঈদে যানজট মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের ১১টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত

আপডেট সময় : ০৭:০৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

এবার ঈদে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের ১১টি স্থানকে যানজট ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থানে যাতে কোনভাবেই যানবাহন থেমে না থাকে সে জন্য বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ।

কোন টোল ঘরের কারণে যানজট সৃষ্টি হলে প্রয়োজনে সেখানে যানবাহনের টোল ফ্রি করে দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম।

ঈদ উল ফিতরে মহাসড়কে যানজট নিরসন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা জানান তিনি।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের তথ্য মতে, ‘গৌরনদীর ভুরঘাটা থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যন্ত ১৫৯ কিলোমিটার মহাসড়কের একাধিক স্থান রয়েছে অপেক্ষাকৃত সরু। যা এরই মধ্যে পুলিশের নজরে আনা হয়েছে বলে জানান সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান।

তিনি বলেন, ‘বরিশালের ১৫৯ কিলোমিটার মহাসড়ক ঘিরে একটি মহানগরি, দুটি জেলা, ১১টি উপজেলা, ১৭টি হাট বাজার রয়েছে। এর মধ্যে গৌরনদীর মাহিলারা, বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ, রূপাতলী ও সাগরদি এলাকা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এসব স্থানে যদি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সুদৃঢ় করা যায়, তবে এবারে ঈদ যাত্রায় কোথাও গাড়ির চাকা থামবে না, যাত্রা হবে নির্বিঘ্ন।

এদিকে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপ থেকে জানানো হয়েছে, ‘পূর্বে বরিশাল থেকে সর্বোচ্চ ২০টি নামে দেড় শতাধিক দূরপাল্লার গাড়ি চলতো। পদ্মা সেতু চালুর পর এখন ৫৫টি নামে প্রায় ৬০০ দূরপাল্লার গাড়ি চলছে। তবে ঈদের সময় এই সংখ্যা আরো দ্বিগুণের বেশি বেড়ে যায়। ফলে এই সময় গাড়ি চলাচলের হিসাব থাকে না। গাড়িগুলো কে কার আগে যাবে সেই প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে সড়কে অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের আগে পরে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ, সাগরদী ও রূপাতলী এলাকাসহ জেলার গৌরনদী, বাটাজোর, টরকী, ইচলাদি মিলিয়ে ১১টি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ হাজার যানবাহন অতিক্রম করে।

এর মধ্যে তিনটি স্থানে রয়েছে ব্রিজ টোলঘর। ঝুঁকিপূর্ণ এসব এলাকা চিহ্নিত করে ট্রাফিক পুলিশের সাথে অতিরিক্ত প্রায় সাড়ে তিন শত সাধারণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শুধুমাত্র ঈদে যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য।

জেলার পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এবারে যানজটকে জিরো ট্রলারেন্স হিসেবে দেখা হচ্ছে। যানজটের কারণে ঈদ যাত্রীরা যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সে দিকটাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। টোল প্লাজার কারণে ন্যূনতম যানজটের সৃষ্টি হলে প্রয়োজনে যানবাহনের টোল ফ্রি করে দেওয়া হবে। এই রমজানে সব ধরনের যানজট ঠেকাতে আমরা আমাদের ট্রাফিক ইউনিটের সাথে ১৫০ জন জনবল আলাদা ডিউটি দিয়েছি।

অপরদিকে সহনীয় ঈদ যাত্রাকে সামনে রেখে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ তিনটি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে ব্যস্ত এলাকাগুলোকে। এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনজন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারকে। তাদের নেতৃত্বে এরই মধ্যে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়া সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এবারের ঈদে যানজট মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির।