১২:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালে স্বর্ণ প্রতারক চক্রের সদস্য আটক, ধরা ছোয়ার বাইরে মূলহোতা

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৬:১৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

বরিশালে নকল স্বর্ণের বারসহ কালু মৃধা (৩২) নামে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিলো স্থানীয় জনতা। এ সময় এক পিস নকল স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। তবে নকল স্বর্ণ প্রতারক চক্রের মূলহোতা মফিজ সরদার ওরফে সোনা মফিজ কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে নগরীর ১নং ওয়ার্ড জানুকিসিংহ রোড এলাকা থেকে তাকে আটক করে স্থানীয়রা কাউনিয়া পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পরে রাতে রিপন হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে আটক কালুসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে কাউনিয়া থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামীরা হলেন- নগরীর ১ নং ওয়ার্ডস্থ খালপাড় সড়ক এলাকার মোঃ সিদ্দিক মৃধার ছেলে কালু মৃধা (৪২), নগরীর ৩ নং ওয়ার্ডস্থ গাউয়াসার এলাকার মজিদ সরদারের ছেলে মোঃ মফিজ সরদার (৬০), নগরীর ১ নং ওয়ার্ডস্থ পাসপোর্ট গলির মৃত সফিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে কাওসার হাওলাদারসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন।

মামলা বাদী রিপন হাওলাদার জানান, বরিশাল নগরীতে দীর্ঘদিন যাবত স্বর্ণ প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। নগরীর ১নং ওয়ার্ড জানুকিসিংহ রোড এলাকায় একটি রিক্সা থামিয়ে যাত্রীদের সাথে কথা কাটাকাটি করে রিক্সা চালক। বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে রিপনসহ বেশ কয়েকজন রিক্সায় থাকা বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রী যাত্রীদের কাছে জিজ্ঞেস করেন কি হয়েছে। রিক্সায় থাকা যাত্রীরা বলেন, তারা নথুল্লাবাদ বাস ষ্ট্যান্ড থেকে পলাশপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে রিক্সায় ওঠে। কিন্তু রিক্সা চালক তাদের এ পথে নিয়ে এসে একটা কাগজে মোড়ানো একটি টুকরো স্বর্ণের সাদৃশ্য বস্তু ও একটি চিরকুট দিয়ে বলে এখানে কি লেখা আছে এটা পড়ে শুনানতো।

তখন তিনি দেখেন চিরকুট লেখা আছে, দিলিপ বাবু স্বর্ন কার পতরে আমার পোনাম নিবেন বাবু আমি না আসতে পারায় আমার ছোটো ছেলের কাছে দুই বরি কাচা থান স্বর্ণ পাঠিয়ে দিলাম সুন্দর করিয়া দুইটি সিংগাপুরি গলার চেন অথবা এক জোরা কানের জুমকা আমার মেয়ের বিয়ের উপহার দিতে হবে। ইতি আপনার বন্ধু বিজান বাবু।

পরে তাদের কাছে স্বর্ণের সাদৃশ্য বস্তুটির বিনিময় কিছু টাকা ও স্বর্ণ চান রিক্সা চালক কালু মৃধা। এ নিয়ে কালুর সাথে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে কালুর প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে গণধোলাই দিয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ সময় কালু বলেন- আমাকে মফিজ ও কাওসার পাঠিয়েছে। এরআগেও আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় হাজিরা দিতে হয়। টাকা-পয়সার দরকার হয়। আমার ছেলে-মেয়ে ও পরিবার আছে, আমি এই কাজ করতে চাইনা। আমি কাজে না আসলে মফিজ ও কাওসার আমাকে মারধর করে, লোকজন পাঠিয়ে পরিবারকে ভয় দেখায় ও পুলিশ দিয়ে হয়রানি করায়। অন্য কাজ করলেও সেই কাজের টাকা তারা রেখে দেয়। যে কাজই করি পথে আটকে টাকা রেখে দিয়ে বলে যে স্বর্ণ প্রতারণা করে এসেছি। এ নিয়ে থানায় বেশ কয়েকবার অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোন ভূমিকা রাখেনা। তাই বাধ্য হয়ে এই কাজ করতে হয়।

এ বিষয়ে প্রতারণার শিকার অতুল চন্দ্র মাঝি বলেন- আমরা নথুল্লাবাদ বাস ষ্ট্যান্ড থেকে রিক্সায় উঠছি পলাশপুর যাবো। কিন্তু রিক্সা চালক আমাদের এ পথে নিয়ে এসে একটা কাগজে মোড়ানো একটি টুকরো স্বর্ণের সাদৃশ্য বস্তু ও একটি চিরকুট দিয়ে বলে এখানে কি লেখা আছে এটা পড়ে শুনানতো।

চিরকুটে লেখা ছিল- দিলিপ বাবু স্বর্ন কার পতরে আমার পোনাম নিবেন বাবু আমি না আসতে পারায় আমার ছোটো ছেলের কাছে দুই বরি কাচা থান স্বর্ণ পাঠিয়ে দিলাম সুন্দর করিয়া দুইটি সিংগাপুরি গলার চেন অথবা এক জোরা কানের জুমকা আমার মেয়ের বিয়ের উপহার দিতে হবে। ইতি আপনার বন্ধু বিজান বাবু। পরে আমাদের কাছে স্বর্ণের সাদৃশ্য বস্তুটির বিনিময় কিছু টাকা ও স্বর্ণ চান রিক্সা চালক কালু মৃধা। এ নিয়ে কালুর সাথে আমাদের দামাদামি হচ্ছিল। হঠাৎ স্থানীয়রা এগিয়ে এসে কালুকে গণধোলাই দিয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। তখন বুঝতে পারি সে স্বর্ণ প্রতারক চক্রের সদস্য। আমরা বয়স্ক মানুষ তাই ঝামেলা চাই না, তাই আমরা মামলা করিনি। আমাদের পক্ষে একজন লোক মামলা করেছে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন- এরা প্রতিনিয়ত মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেন। গ্রামের সাদা-সিদা মানুষ এদের খপ্পরে পরে সর্বস্ব হারাচ্ছেন। এ বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা না নিলে আরো অনেক মানুষ সর্বশান্ত হবে।

অভিযোগ রয়েছে- স্বর্ণ প্রতারক চক্রের মূলহোতা মফিজ সরদার ওরফে সোনা মফিজ বিগত দিনে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় তার এ প্রতারণা চালিয়ে আসছিল। ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর তার এ প্রতারণা চালিয়ে রাখতে প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাদের কাধে ভর করে প্রতিনিয়ত প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেশির ভাগ সময় লোক দিয়ে কাজ করিয়ে ধরা ছোয়ার বাইরে থাকেন মফিজ। ইতোমধ্যে প্রতারণার মাধ্যমে মফিজ অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এমনকি হরহামেশাই বিদেশ ভ্রমণ করেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান, স্থানীয়দের সহায়তায় প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বাকি স্বর্ণ প্রতারকদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

বরিশালে স্বর্ণ প্রতারক চক্রের সদস্য আটক, ধরা ছোয়ার বাইরে মূলহোতা

আপডেট সময় : ০৬:১৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

বরিশালে নকল স্বর্ণের বারসহ কালু মৃধা (৩২) নামে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিলো স্থানীয় জনতা। এ সময় এক পিস নকল স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। তবে নকল স্বর্ণ প্রতারক চক্রের মূলহোতা মফিজ সরদার ওরফে সোনা মফিজ কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে নগরীর ১নং ওয়ার্ড জানুকিসিংহ রোড এলাকা থেকে তাকে আটক করে স্থানীয়রা কাউনিয়া পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পরে রাতে রিপন হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে আটক কালুসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে কাউনিয়া থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামীরা হলেন- নগরীর ১ নং ওয়ার্ডস্থ খালপাড় সড়ক এলাকার মোঃ সিদ্দিক মৃধার ছেলে কালু মৃধা (৪২), নগরীর ৩ নং ওয়ার্ডস্থ গাউয়াসার এলাকার মজিদ সরদারের ছেলে মোঃ মফিজ সরদার (৬০), নগরীর ১ নং ওয়ার্ডস্থ পাসপোর্ট গলির মৃত সফিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে কাওসার হাওলাদারসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন।

মামলা বাদী রিপন হাওলাদার জানান, বরিশাল নগরীতে দীর্ঘদিন যাবত স্বর্ণ প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। নগরীর ১নং ওয়ার্ড জানুকিসিংহ রোড এলাকায় একটি রিক্সা থামিয়ে যাত্রীদের সাথে কথা কাটাকাটি করে রিক্সা চালক। বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে রিপনসহ বেশ কয়েকজন রিক্সায় থাকা বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রী যাত্রীদের কাছে জিজ্ঞেস করেন কি হয়েছে। রিক্সায় থাকা যাত্রীরা বলেন, তারা নথুল্লাবাদ বাস ষ্ট্যান্ড থেকে পলাশপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে রিক্সায় ওঠে। কিন্তু রিক্সা চালক তাদের এ পথে নিয়ে এসে একটা কাগজে মোড়ানো একটি টুকরো স্বর্ণের সাদৃশ্য বস্তু ও একটি চিরকুট দিয়ে বলে এখানে কি লেখা আছে এটা পড়ে শুনানতো।

তখন তিনি দেখেন চিরকুট লেখা আছে, দিলিপ বাবু স্বর্ন কার পতরে আমার পোনাম নিবেন বাবু আমি না আসতে পারায় আমার ছোটো ছেলের কাছে দুই বরি কাচা থান স্বর্ণ পাঠিয়ে দিলাম সুন্দর করিয়া দুইটি সিংগাপুরি গলার চেন অথবা এক জোরা কানের জুমকা আমার মেয়ের বিয়ের উপহার দিতে হবে। ইতি আপনার বন্ধু বিজান বাবু।

পরে তাদের কাছে স্বর্ণের সাদৃশ্য বস্তুটির বিনিময় কিছু টাকা ও স্বর্ণ চান রিক্সা চালক কালু মৃধা। এ নিয়ে কালুর সাথে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে কালুর প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে গণধোলাই দিয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ সময় কালু বলেন- আমাকে মফিজ ও কাওসার পাঠিয়েছে। এরআগেও আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় হাজিরা দিতে হয়। টাকা-পয়সার দরকার হয়। আমার ছেলে-মেয়ে ও পরিবার আছে, আমি এই কাজ করতে চাইনা। আমি কাজে না আসলে মফিজ ও কাওসার আমাকে মারধর করে, লোকজন পাঠিয়ে পরিবারকে ভয় দেখায় ও পুলিশ দিয়ে হয়রানি করায়। অন্য কাজ করলেও সেই কাজের টাকা তারা রেখে দেয়। যে কাজই করি পথে আটকে টাকা রেখে দিয়ে বলে যে স্বর্ণ প্রতারণা করে এসেছি। এ নিয়ে থানায় বেশ কয়েকবার অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোন ভূমিকা রাখেনা। তাই বাধ্য হয়ে এই কাজ করতে হয়।

এ বিষয়ে প্রতারণার শিকার অতুল চন্দ্র মাঝি বলেন- আমরা নথুল্লাবাদ বাস ষ্ট্যান্ড থেকে রিক্সায় উঠছি পলাশপুর যাবো। কিন্তু রিক্সা চালক আমাদের এ পথে নিয়ে এসে একটা কাগজে মোড়ানো একটি টুকরো স্বর্ণের সাদৃশ্য বস্তু ও একটি চিরকুট দিয়ে বলে এখানে কি লেখা আছে এটা পড়ে শুনানতো।

চিরকুটে লেখা ছিল- দিলিপ বাবু স্বর্ন কার পতরে আমার পোনাম নিবেন বাবু আমি না আসতে পারায় আমার ছোটো ছেলের কাছে দুই বরি কাচা থান স্বর্ণ পাঠিয়ে দিলাম সুন্দর করিয়া দুইটি সিংগাপুরি গলার চেন অথবা এক জোরা কানের জুমকা আমার মেয়ের বিয়ের উপহার দিতে হবে। ইতি আপনার বন্ধু বিজান বাবু। পরে আমাদের কাছে স্বর্ণের সাদৃশ্য বস্তুটির বিনিময় কিছু টাকা ও স্বর্ণ চান রিক্সা চালক কালু মৃধা। এ নিয়ে কালুর সাথে আমাদের দামাদামি হচ্ছিল। হঠাৎ স্থানীয়রা এগিয়ে এসে কালুকে গণধোলাই দিয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। তখন বুঝতে পারি সে স্বর্ণ প্রতারক চক্রের সদস্য। আমরা বয়স্ক মানুষ তাই ঝামেলা চাই না, তাই আমরা মামলা করিনি। আমাদের পক্ষে একজন লোক মামলা করেছে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন- এরা প্রতিনিয়ত মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেন। গ্রামের সাদা-সিদা মানুষ এদের খপ্পরে পরে সর্বস্ব হারাচ্ছেন। এ বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা না নিলে আরো অনেক মানুষ সর্বশান্ত হবে।

অভিযোগ রয়েছে- স্বর্ণ প্রতারক চক্রের মূলহোতা মফিজ সরদার ওরফে সোনা মফিজ বিগত দিনে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় তার এ প্রতারণা চালিয়ে আসছিল। ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর তার এ প্রতারণা চালিয়ে রাখতে প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাদের কাধে ভর করে প্রতিনিয়ত প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেশির ভাগ সময় লোক দিয়ে কাজ করিয়ে ধরা ছোয়ার বাইরে থাকেন মফিজ। ইতোমধ্যে প্রতারণার মাধ্যমে মফিজ অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এমনকি হরহামেশাই বিদেশ ভ্রমণ করেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান, স্থানীয়দের সহায়তায় প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বাকি স্বর্ণ প্রতারকদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।