বরিশালে সাবেক ছাত্রদল নেতার হামলায় যুবদল নেতা আহত

- আপডেট সময় : ০৫:১৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১১০ বার পড়া হয়েছে

চাঁদা না দেওয়ায় বরিশাল জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন রেজা খানকে খুন্তি দিয়ে কুপিয়ে শরীরে গরম পানি ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মনোয়ার হোসেন জিপুর বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে কাউনিয়া মেইন রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মনোয়ার হোসেন জিপু নগরীর কাউনিয়া মেইন রোড এলাকার মৃত শহিদ হোসেন তালুকদারের ছেলে। তিনি বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। আহত মামুন রেজা খানও একই এলাকার বাসিন্দা ও বরিশাল জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মামুন রেজা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে জিপু ঢাকায় ছিলেন। ৫ আগস্টের পর বরিশাল আসেন। এরপর শুরু হয় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা।
তিনি বলেন, বুধবার বেলা ১২টার দিকে কাউনিয়া মেইন রোড এলাকায় জিপুর সঙ্গে দেখা হলে সে বড় অঙ্কের টাকা চায়। এর আগেও একইভাবে টাকা দাবি করেছে। তাকে বারবার বলেছি, আমার সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানে টাকা দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এতে সে ক্ষুব্ধ হয়ে একপর্যায়ে হুমকি দিয়ে বলে কাউনিয়ায় থাকতে হলে চাঁদা দিতে হবে। এ নিয়ে তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী হোটেল থেকে খুন্তি এনে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এমনকি চায়ের কেটলির গরম পানি শরীরে নিক্ষেপ করে সে।
যুবদলের এই নেতা আরও বলেন, আগেও সে কাউনিয়া এলাকার বেশ কয়েকজনকে মারধর করেছে। ওই সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। এতেও তার ত্রাস বন্ধ করতে পারছে না।
নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মতুর্জা আবেদীন বলেন, এর আগে নগরীর রূপাতলী এলাকার ভোজনবিলাস হোটেলে গিয়ে খাওয়ার পর ক্যাশ কাউন্টার থেকে ৩০ হাজার টাকা ছিনতাই করে। এরপর হোটেল কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায়।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন জিপুর বিরুদ্ধে নালিশ আসছে। এলাকায় একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। জিপুর অত্যাচার থেকে সাধারণ মানুষ রেহাই পাচ্ছে না। এ জন্য পুলিশকে কঠোর ভূমিকা নেওয়ার দাবি জানাই।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে মনোয়ার হোসেন জিপুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরও যাতে আর কোনো ধরনের অপরাধ সংঘটিত করতে না পারে এ জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।