০৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালে রাতে নেই টহল পুলিশ, নিরাপত্তাহীনতায় নগরবাসী

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১০৫ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল নগরীতে দিবা-নৈশকালীন টহল পুলিশের দেখা মেলে না। ট্রাফিক পুলিশদের দিনের বেলায় দেখা গেলেও সন্ধ্যার পর তারাও থাকে না বলে নগরবাসীর দাবি। দিনের বেলায় সমস্যা না হলেও নৈশ টহল দল না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় থাকে নগরবাসী। তবে পুলিশের দাবি তাদের টহল অব্যাহত রয়েছে।

বরিশাল নগরীর বাসিন্দা রিকশা চালক মো. শাহজাহান বলেন, গত ৫ আগষ্টের পর রাস্তায় টহল পুলিশের দেখা মেলে না। রাতে নগরে রিকশা চালানোর সময় বর্তমানে টহল পুলিশ দেখা যায় না। নগরের কাউনিয়া বেঙ্গল বিস্কুট ফ্যাক্টরির বিপরীতের বাসিন্দা শাহজাহান বলেন, ট্রাফিক পুলিশ দিনে দেখা গেলেও সন্ধ্যার পর তাদের পাওয়া যায় না।

নগরের প্রাণকেন্দ্র সদর রোডের ব্যাংকের বুথে থাকা নিরাপত্তা প্রহরী মো. মোসলেম বলেন, রাতে সদর রোডেই পুলিশ দেখা যায় না। ব্যাংকের বুথে ডিউটি করায় নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হয় বলে জানান তিনি।

বরিশাল নগরে চার থানা কোতয়ালী মডেল, কাউনিয়া, এয়ারপোর্ট ও বন্দর থানাসহ চারটি ফাড়ি এবং একটি ক্যাম্প রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা এবং রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দুই শিফটে থানা পুলিশের টহল দল কাজ করে। এছাড়াও সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দুই শিফটে নগরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দায়িত্ব পালন করতো। কিন্তু গত ৫ আগষ্টের পর পুরো চিত্র পাল্টে যায়। সরকার পতনের পর হামলার ভয়ে পুলিশ সদস্যরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। সেনাবাহিনীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের আশ্বাসে গত ১২ আগষ্ট থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করে।

বরিশাল নগরের বাসিন্দা আমানতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মাহাদী হাসান বলেন, রাতে অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় ছিনতাইয়ের আতঙ্ক থাকে। কারণ আগে পুলিশ টহল দিতো। এখন আর রাস্তায় পুলিশের দেখা পাওয়া যায় না। পুলিশ নিয়মিত টহল না দিলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা থাকে। চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাবে।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি লোকমান হোসেন বলেন, প্রথম কয়েকদিন টহল ডিউটি বন্ধ ছিলো। এখন নিয়মিত টহল দেয়া হয়।

বরিশাল কাউনিয়া থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা জানান, তাদের থানার চারটি টহল দল নিয়মিত টহল দেয়।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ওসি বিপ্লব কুমার মিস্ত্রি বলেন, পুলিশী টহল আগের মতোই চলছে। তবে আগের মতো টহল দল নেই। তাই জনগণ দেখে না।

তিনি বলেন, আগে বন্দর থানায় পাঁচটি টহল দল দায়িত্ব পালন করতো। তারা বিভিন্ন অলিতে-গলিতে গিয়ে দায়িত্ব পালন করতো। এখন দুইটি টহল দল এক সাথে থাকে। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের দাবি পুলিশের টহল কাজ নিয়মিত চলছে।


Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

বরিশালে রাতে নেই টহল পুলিশ, নিরাপত্তাহীনতায় নগরবাসী

আপডেট সময় : ০৪:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

বরিশাল নগরীতে দিবা-নৈশকালীন টহল পুলিশের দেখা মেলে না। ট্রাফিক পুলিশদের দিনের বেলায় দেখা গেলেও সন্ধ্যার পর তারাও থাকে না বলে নগরবাসীর দাবি। দিনের বেলায় সমস্যা না হলেও নৈশ টহল দল না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় থাকে নগরবাসী। তবে পুলিশের দাবি তাদের টহল অব্যাহত রয়েছে।

বরিশাল নগরীর বাসিন্দা রিকশা চালক মো. শাহজাহান বলেন, গত ৫ আগষ্টের পর রাস্তায় টহল পুলিশের দেখা মেলে না। রাতে নগরে রিকশা চালানোর সময় বর্তমানে টহল পুলিশ দেখা যায় না। নগরের কাউনিয়া বেঙ্গল বিস্কুট ফ্যাক্টরির বিপরীতের বাসিন্দা শাহজাহান বলেন, ট্রাফিক পুলিশ দিনে দেখা গেলেও সন্ধ্যার পর তাদের পাওয়া যায় না।

নগরের প্রাণকেন্দ্র সদর রোডের ব্যাংকের বুথে থাকা নিরাপত্তা প্রহরী মো. মোসলেম বলেন, রাতে সদর রোডেই পুলিশ দেখা যায় না। ব্যাংকের বুথে ডিউটি করায় নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হয় বলে জানান তিনি।

বরিশাল নগরে চার থানা কোতয়ালী মডেল, কাউনিয়া, এয়ারপোর্ট ও বন্দর থানাসহ চারটি ফাড়ি এবং একটি ক্যাম্প রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা এবং রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দুই শিফটে থানা পুলিশের টহল দল কাজ করে। এছাড়াও সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দুই শিফটে নগরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দায়িত্ব পালন করতো। কিন্তু গত ৫ আগষ্টের পর পুরো চিত্র পাল্টে যায়। সরকার পতনের পর হামলার ভয়ে পুলিশ সদস্যরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। সেনাবাহিনীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের আশ্বাসে গত ১২ আগষ্ট থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করে।

বরিশাল নগরের বাসিন্দা আমানতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মাহাদী হাসান বলেন, রাতে অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় ছিনতাইয়ের আতঙ্ক থাকে। কারণ আগে পুলিশ টহল দিতো। এখন আর রাস্তায় পুলিশের দেখা পাওয়া যায় না। পুলিশ নিয়মিত টহল না দিলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা থাকে। চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাবে।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি লোকমান হোসেন বলেন, প্রথম কয়েকদিন টহল ডিউটি বন্ধ ছিলো। এখন নিয়মিত টহল দেয়া হয়।

বরিশাল কাউনিয়া থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা জানান, তাদের থানার চারটি টহল দল নিয়মিত টহল দেয়।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ওসি বিপ্লব কুমার মিস্ত্রি বলেন, পুলিশী টহল আগের মতোই চলছে। তবে আগের মতো টহল দল নেই। তাই জনগণ দেখে না।

তিনি বলেন, আগে বন্দর থানায় পাঁচটি টহল দল দায়িত্ব পালন করতো। তারা বিভিন্ন অলিতে-গলিতে গিয়ে দায়িত্ব পালন করতো। এখন দুইটি টহল দল এক সাথে থাকে। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের দাবি পুলিশের টহল কাজ নিয়মিত চলছে।