০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে মামলার বাদীকে গুম খুনের হুমকি, বিপাকে অসহায় পরিবার

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১১:৫৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৮৩ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের চরমোনাই গ্রামের বাসিন্দা নাছিমা বেগম। পৈত্রিক সূত্রে তিনি বাবার বাড়িতে থাকে। বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া একটি ছোট্ট ঘরে বসবাস করতেন নাছিমা। স্বামী হাবিব মিয়া পেশায় ট্রলার চালক। বরিশালের চরকাউয়া খেয়াঘাটে মানুষ পারপার করে চলে নাছিমার সংসার। গত বছরের জুন মাসের দিকে একটি ঘটনায় নাছিমার স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় প্রতিপক্ষের দেয়া আগুনে। বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া মাথা গোজার ঠাই টুকুতেই আগুন দেয় প্রতিপক্ষ। স্বামী সন্তান নিয়ে রাস্তার পাশে বসবাস করে নাছিমা বেগম। ওই ঘটনায় ৬ জনকে আসামী করে বরিশাল মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন নাছিমা বেগম। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জকে এফ আই আর করার নির্দেশ দেন। মামলাটি দায়ের হওয়ার পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরির্দশক (এস আই) আরাফাত হাসান মামলাটির ফাইনাল প্রতিবেদন দেন। এই ঘটনা জানতে পেরে আবারো আদালতের দ্বারস্থ হন নাছিমা। তিনি এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি জানালে আদালত মামলাটি সিআইডিতে তদন্তের জন্য পাঠায়। সিআইডির পুলিশ পরির্দশক রোকেয়া বেগম ৬জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন দাখিলের পরে আদালত ৬জনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর আসামীরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নামমঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। এর মধ্যে ৪ নং আসামী মাওলানা সিদ্দিকুর রহমানকে জামিন দেন। এই ঘটনার জের ধরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে জামিনে মুক্ত হওয়া আসামী সিদ্দিকুর রহমান মামলার বাদীকে টানা হেচড়া শুরু করে। ঘটনাটি ঘটে চরকাউয়া খেয়া ঘাট এলাকায়। এসময় বাদী ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। আসামী সিদ্দিকুর রহমানের সাথে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা হুমকি দিয়ে যায় মামলা প্রত্যাহার না করলে এবার ঘর না তোকে নিজেকেই মেরে ফেলবো বলে হুমকি প্রদান করেন। এঘটনায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন বাদী নাছিমা বেগম। তিনি জানান, আমার স্বামী সন্তানরা ট্রলার চালায় তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছি। এবিষয় কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত করছি। আমরা এই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

বরিশালে মামলার বাদীকে গুম খুনের হুমকি, বিপাকে অসহায় পরিবার

আপডেট সময় : ১১:৫৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের চরমোনাই গ্রামের বাসিন্দা নাছিমা বেগম। পৈত্রিক সূত্রে তিনি বাবার বাড়িতে থাকে। বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া একটি ছোট্ট ঘরে বসবাস করতেন নাছিমা। স্বামী হাবিব মিয়া পেশায় ট্রলার চালক। বরিশালের চরকাউয়া খেয়াঘাটে মানুষ পারপার করে চলে নাছিমার সংসার। গত বছরের জুন মাসের দিকে একটি ঘটনায় নাছিমার স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় প্রতিপক্ষের দেয়া আগুনে। বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া মাথা গোজার ঠাই টুকুতেই আগুন দেয় প্রতিপক্ষ। স্বামী সন্তান নিয়ে রাস্তার পাশে বসবাস করে নাছিমা বেগম। ওই ঘটনায় ৬ জনকে আসামী করে বরিশাল মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন নাছিমা বেগম। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জকে এফ আই আর করার নির্দেশ দেন। মামলাটি দায়ের হওয়ার পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরির্দশক (এস আই) আরাফাত হাসান মামলাটির ফাইনাল প্রতিবেদন দেন। এই ঘটনা জানতে পেরে আবারো আদালতের দ্বারস্থ হন নাছিমা। তিনি এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি জানালে আদালত মামলাটি সিআইডিতে তদন্তের জন্য পাঠায়। সিআইডির পুলিশ পরির্দশক রোকেয়া বেগম ৬জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন দাখিলের পরে আদালত ৬জনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর আসামীরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নামমঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। এর মধ্যে ৪ নং আসামী মাওলানা সিদ্দিকুর রহমানকে জামিন দেন। এই ঘটনার জের ধরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে জামিনে মুক্ত হওয়া আসামী সিদ্দিকুর রহমান মামলার বাদীকে টানা হেচড়া শুরু করে। ঘটনাটি ঘটে চরকাউয়া খেয়া ঘাট এলাকায়। এসময় বাদী ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। আসামী সিদ্দিকুর রহমানের সাথে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা হুমকি দিয়ে যায় মামলা প্রত্যাহার না করলে এবার ঘর না তোকে নিজেকেই মেরে ফেলবো বলে হুমকি প্রদান করেন। এঘটনায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন বাদী নাছিমা বেগম। তিনি জানান, আমার স্বামী সন্তানরা ট্রলার চালায় তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছি। এবিষয় কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত করছি। আমরা এই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।