বরিশালে ফের বেপরোয়া মাদক ব্যবসায়ী বেবী!

- আপডেট সময় : ০২:০০:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৬৩৫ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল নগরীর নতুনবাজার আদি শ্বশান এলাকার সু-পরিচিত ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বেবী একাধিক মামলা ও কারাদন্ড মাথায় নিয়ে দেদারছে প্রকাশ্য দিবালোকে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার পরও এ যেনো তাকে দেখার কেউ নেই। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে এই বেবীকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাকে বেশিদিন কারাগারে আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে প্রতিবারেই বেড়িয়ে নতুন করে শুরু করে ইয়াবা ব্যবসা। বেবী ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ। এদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ।
কেউ মুখ খুললে তার আর রেহাই নেই। প্রতিবাদকারীর ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। নয়তবা তাকে উল্টো মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফাঁসিয়ে দিচ্ছে মাদককারকারী বেবী চক্রটি। বলাবাহুল্য : ২০০৯ সালে মাদক মামলায় বেবীকে ৬ বছর কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। ২০১৩ সালে মাদক মামলায় ৩০ বছর কারাদন্ড হয়। একই বছরে মাদকের আরেকটি মামলায় ১০ বছর কারাদন্ড হয়। ২০১৬ সালে মাদক মামলায় ৩০ বছর কারাদন্ড হয়। ২০১৭ সালে ২ বছর কারাদন্ড হয়। এদিকে, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আদি শ্বশান এলাকায় বেবি বেগম ও তার ছেলেদের মাদক ব্যবসায়ের প্রতিবাদ করায় স্থানীয় আবির নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। ঘটনার পরপরই বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আহত আবিরকে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবির ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত নতুন বাজার এলাকা সহ বিভিন্নস্থানে ইয়াবা ও ফেনসিডিল বিক্রি করে আসছে বেবী ও তার সহযোগীরা।
এ বিষয়ের প্রতিবাদ করায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মাদক কারবারীরা। সূত্র জানায়, বুধবার রাত ১১টার দিকে আবির ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসে। হঠাৎ বেবির ভাড়া করা বাবুগঞ্জের একাধিক মামলার কিলার আসামী সোপান শরীফ, তারেক, আরিফসহ আরো ৪/৫ অজ্ঞাত হামলাকারী আবিরের উপর ধারালো অস্ত্র হিয়ে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা আবিরকে হত্যা করার উদ্দেশ্য পেটে ও হাতের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রধারা কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। ঘটনার পরপরই বগুড়া রোড ফাঁড়ির এ.এস আই কামরুল ঘটনাস্থলে সংবাদ পেয়ে আসে। পরবর্তীতে কোতয়ালী থানায় সংবাদ দিলে সেখান খেকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় আহত অবস্থায় আবির থানায় ছুটে গেলে কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিচুল রহমান আবিরকে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়। আবিরের পিতা হারুন অর রসিদ বলেন এব্যাপারে মামলার সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। এবিষয়ে থানা ইনচার্জ আরিচুল হক বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ বিষয়ে নতুন বাজার ফাড়ির ইনচার্জ মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনায় কোতয়ালী থানায় ইতোমধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে। হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।