বরিশালে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য আহত, আটক ১

- আপডেট সময় : ০৭:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ২৬৫ বার পড়া হয়েছে

রিপন রানা::বরিশাল সদর উপজেলা চরবাড়িয়া ইউনিয়ন বেলতলা খেয়াঘাটের সড়কও জনপদের ঘাট ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, বেলতলা খেয়াঘাটের স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা ও ইজারাদার।
কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত বেলতলা খেয়াঘাট। খেয়া পাড়াপারে যেন অনিয়ম বেড়েই চলছে। অনিয়মের সাথে সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ,দুর্ভোগের সাথে সাধারণ মানুষকে গুনতে হচ্ছে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত খেয়া পারাপারের টাকা। ফলে চরমোনাই ইউনিয়নের প্রতিবারের নেয় এবার মাহফিলে আসা লাক্ষ লাক্ষ মুসল্লীদের প্রতিনিয়তই এই দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
এ নিয়ে যাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও হয়রানির ভয়ে নিশ্চুপ থাকেন তারা। এছাড়াও তাদের হাতে বছরের পর বছর জিম্মি চরমোনাই ইউনিয়নে বাসিন্দারাও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি বছরের মত এবছরও চরমোনাই মাহফিলের উদ্দেশ্যে আশা যাত্রীদের কাজ থেকে পল্টনে প্রবেশ করলেই ৮টাকা ভাড়া আদায় করেন। পরবর্তীতে পল্টন থেকে মুসল্লীরা ট্রলার রিসার্ভ করে চরমোনাই মাহফিলের উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলে ঘাট ইজারাদারের লোক নিয়াজ,ইমরান ট্রলার প্রতি পাঁচশত টাকা থেকে এক হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন।
ভাড়া আদায় কারি নিয়াজ বলেন, যে প্রতিবার যাত্রীদের কাজ থেকে জন প্রতি ৮ টাকাও হোন্ডা ৫০ টাকা ভাড়া আদায় ও বাহিরের ট্রলার প্রতি ৫০০-১০০০টাকা আদায় করি। ঘাট সমন্দে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বরিশাল জেলা পরিষদ থেকে জেনে নিন। আপনাদের মত কত মানুষকে দেখছি নিউজ করতে এসে কথা বার্তা শেষে চা খেয়ে টাকা পয়সা নিয়ে চলে গেছে। আপনি আমাদের বিরুদ্ধে লিখে কি করতে পারবেন।
স্থানীয় ট্রলার চালক পারভেজ বলেন, আমাদের ট্রলারে যাত্রী নিয়ে চরমোনাই মাহফিলের উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলে ঘাট ইজারাদারের লোক নিয়াজ নামে এক যুবক এক হাজার টাকা দাবি করে। আমরা দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে মারধরের হুমকি দেয়। আমি নিয়াজ নামে ঐ লোককে পাঁচশত টাকা দিলে তিনি পাঁচশত টাকা নিতে অনিচ্ছুক প্রকাশ করেন। তার দাবীকৃত টাকা দিয়ে ট্রলার ছাড়তে বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বেলতলা খেয়া ঘাটে ঘাটের ইজারাদার লোক ইমরান ও স্থানীয় পলাশপুরের বাসিন্দা রাব্বি নামের যুবকের সাথে কথার কাটাকাটি হয়। এ সময় কাউনিয়া থানার এক পুলিশ সদস্য লাঞ্ছিতর শিকার হন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে চরমোনাই বাৎসরিক মাহফিলে আশা মুসল্লীদের নিরাপত্তা ও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য পুলিশ সদস্যদের কঠোর ডিউটিতে নিয়োজিত করেছেন।বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন,চরমোনাই মাহফিলকে কেন্দ্র করে মুসল্লীদের হয়রানি বা ট্রলার থেকে চাঁদা আদায় ও মারধরের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ঘাট ইজারাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি চলছে।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বেলতলা খেয়া ঘাটে ঘাট ইজারাদার ও স্থানীয়দের ভিতর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।এ সময় ডিউটিরত পুলিশ সদস্য নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তার উপরও হামলা হয়। উক্ত ঘটনায় রাব্বি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ঘাট ইজারাদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।