০৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Uncategorized

বরিশালে জনপ্রিয় হচ্ছে স্কেটিং

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৮:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
  • / ২৩৩ বার পড়া হয়েছে

ফুটবল, ক্রিকেটের পাশাপাশি রোলার স্কেটিংয়ে আগ্রহ বাড়ছে বরিশালের ছেলেমেয়েদের। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করাও শিখছেন স্কেটিং। তবে স্কেটিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় নিয়মিত প্র্যাকটিসে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।

সম্প্রতি বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, চাকাযুক্ত বিশেষ জুতা পরে ছুটে চলেছে একদল কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী। নানা ভঙ্গিমায় স্কেটিং করছেন তারা।সেখানে কথা হয় স্কেটিংয়ের প্রশিক্ষণরত কয়েকজন ও কোচ তাইজুল ইসলাম সাব্বিরের সঙ্গে। তারা জানান, নানান প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে তাদের প্র্যাকটিস করতে হচ্ছে। তবে একটি নির্দিষ্ট জায়গা পেলে স্কেটিংয়ের পরিধি আরও বাড়বে।

দশম শ্রেণির ছাত্র মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি নিয়মিত এখানে প্র্যাকটিস করতে আসি। স্কেটিং আমার শখ। কোচের সহায়তায় শিখে এখন আমি নিজে নিজেই প্র্যাকটিস করি। এটা খুব ভালো একটা খেলা।’

প্রশিক্ষণরত খুদে স্কেটার মাহেরা এলছা বলে, ‘প্রথমে স্কেটিং শিখতে গিয়ে অনেকের গায়ের ওপর পড়ে গেছি। এনিয়ে অনেকের গালমন্দ শুনতে হয়েছে। যদি নির্দিষ্ট একটা জায়গা থাকতো তাহলে কথা শুনতে হতো না।’

শুধু মুশফিক এলছাই নয়, নির্দিষ্ট একটি জায়গার দাবি জানিয়েছেন অর্ধশতাধিক প্রশিক্ষণরত স্কেটার।

প্রশিক্ষণরত এক স্কেটারের অভিভাবক শারমিন আক্তার জানান, তার মেয়ের মোবাইল আসক্তি কমাতে ও মানসিক বিকাশের জন্য স্কেটিং ক্লাবে ভর্তি করিয়ে দেন। এখন সে স্কেটিং শিখে নিয়মিত প্র্যাকটিস করছে।

স্কেটিংয়ের মহিলা প্রশিক্ষক রাবেয়া সিকদার আকিরা  বলেন, ‘একটা সময় স্কেটিংয়ে মেয়েদের আগ্রহ কম ছিল। এখন দিনদিন বরিশালের মেয়েদের এ খেলায় আগ্রহ বাড়ছে। ছোট ছোট শিশুদেরও তাদের বাবা-মা নিয়ে আসছেন স্কেটিং শিখাতে। একটা সময় বাচ্চাদের শেখা শেষ হলে অভিভাবকরাও শেখেন। তবে স্কেটিংয়ের জন্য বরিশালে যদি একটা নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা হয় তাহলে এ খেলার পরিধি আরও বাড়বে। স্কেটিংয়ে সবাইকে দক্ষ করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’

প্রশিক্ষক তাইজুল ইসলাম সাব্বির বলেন, ‘খেলাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার আওতায় থাকলেও সেখান থেকে ন্যূনতম কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি। একটি জায়গার জন্য একাধিকবার জেলা প্রশাসনেও যোগাযোগ করেছি। এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, স্কেটিং ক্লাবের পক্ষ থেকে কোনো জায়গা পছন্দ করে আবেদন করলে তাদের জন্য একটা জায়গা বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

বরিশালে জনপ্রিয় হচ্ছে স্কেটিং

আপডেট সময় : ০৫:৫৮:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

ফুটবল, ক্রিকেটের পাশাপাশি রোলার স্কেটিংয়ে আগ্রহ বাড়ছে বরিশালের ছেলেমেয়েদের। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করাও শিখছেন স্কেটিং। তবে স্কেটিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় নিয়মিত প্র্যাকটিসে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।

সম্প্রতি বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, চাকাযুক্ত বিশেষ জুতা পরে ছুটে চলেছে একদল কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী। নানা ভঙ্গিমায় স্কেটিং করছেন তারা।সেখানে কথা হয় স্কেটিংয়ের প্রশিক্ষণরত কয়েকজন ও কোচ তাইজুল ইসলাম সাব্বিরের সঙ্গে। তারা জানান, নানান প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে তাদের প্র্যাকটিস করতে হচ্ছে। তবে একটি নির্দিষ্ট জায়গা পেলে স্কেটিংয়ের পরিধি আরও বাড়বে।

দশম শ্রেণির ছাত্র মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি নিয়মিত এখানে প্র্যাকটিস করতে আসি। স্কেটিং আমার শখ। কোচের সহায়তায় শিখে এখন আমি নিজে নিজেই প্র্যাকটিস করি। এটা খুব ভালো একটা খেলা।’

প্রশিক্ষণরত খুদে স্কেটার মাহেরা এলছা বলে, ‘প্রথমে স্কেটিং শিখতে গিয়ে অনেকের গায়ের ওপর পড়ে গেছি। এনিয়ে অনেকের গালমন্দ শুনতে হয়েছে। যদি নির্দিষ্ট একটা জায়গা থাকতো তাহলে কথা শুনতে হতো না।’

শুধু মুশফিক এলছাই নয়, নির্দিষ্ট একটি জায়গার দাবি জানিয়েছেন অর্ধশতাধিক প্রশিক্ষণরত স্কেটার।

প্রশিক্ষণরত এক স্কেটারের অভিভাবক শারমিন আক্তার জানান, তার মেয়ের মোবাইল আসক্তি কমাতে ও মানসিক বিকাশের জন্য স্কেটিং ক্লাবে ভর্তি করিয়ে দেন। এখন সে স্কেটিং শিখে নিয়মিত প্র্যাকটিস করছে।

স্কেটিংয়ের মহিলা প্রশিক্ষক রাবেয়া সিকদার আকিরা  বলেন, ‘একটা সময় স্কেটিংয়ে মেয়েদের আগ্রহ কম ছিল। এখন দিনদিন বরিশালের মেয়েদের এ খেলায় আগ্রহ বাড়ছে। ছোট ছোট শিশুদেরও তাদের বাবা-মা নিয়ে আসছেন স্কেটিং শিখাতে। একটা সময় বাচ্চাদের শেখা শেষ হলে অভিভাবকরাও শেখেন। তবে স্কেটিংয়ের জন্য বরিশালে যদি একটা নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা হয় তাহলে এ খেলার পরিধি আরও বাড়বে। স্কেটিংয়ে সবাইকে দক্ষ করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’

প্রশিক্ষক তাইজুল ইসলাম সাব্বির বলেন, ‘খেলাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার আওতায় থাকলেও সেখান থেকে ন্যূনতম কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি। একটি জায়গার জন্য একাধিকবার জেলা প্রশাসনেও যোগাযোগ করেছি। এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, স্কেটিং ক্লাবের পক্ষ থেকে কোনো জায়গা পছন্দ করে আবেদন করলে তাদের জন্য একটা জায়গা বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে।