০৬:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালে ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৫:১১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪
  • / ২৯৩ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্যবসা শাখার শিক্ষক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। ষষ্ঠ শ্রেণির ১৩ শিক্ষার্থী ঘটনার পরদিন ৬ মে প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। এরপর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হলে তারা এর সত্যতা পায়।

ঘটনার দিন গত(৫মে) ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আইসিটি ক্লাস ছিল। মাইদুল ইসলাম নামের ওই শিক্ষক ক্লাসে গিয়ে ছাত্রীদের গায়ে পিঠে হাত দেয় বলে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের বলে। এনিয়ে অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষকের এমন আচারণ দীর্ঘ দিনের। এমন হলে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো দায় হয়ে উঠবে। এজন্য ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করেন।

এদিকে স্কুল থেকে গঠন করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি শিক্ষক মাইদুল ইসলামের এমন আচারণের সত্যতা পান। তিনি যে ছাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হাত দেন একথার প্রমাণ পেয়েছে বলে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

এনিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাইদুল ইসলাম প্রথমে পুরো বিষয়টি অস্বীকার করলে পরবর্তীতে নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন মু‌ঠো‌ফো‌নে। তিনি বলেন, মূলত স্কুলের কিছু ভিতরগত রাজনৈতিক বিষয়ে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস এম ফখরুজ্জামনা বলেন, ছাত্রীদের  যৌন হয়রানীর অভিযোগে গেল (৯মে) স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভা ডেকে তাকে পুরোপুরি বরখাস্ত করা হয়েছে। আর ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল জানান, তারা এতেই ক্ষ‌্যান্ত থাকবেন না, দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

চুক্তি ভিত্তিক এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও স্কুলে কোচিং করানো নিয়ে ছাত্রীদের হয়রানীর অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

বরিশালে ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত

আপডেট সময় : ০৫:১১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

বরিশাল নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্যবসা শাখার শিক্ষক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। ষষ্ঠ শ্রেণির ১৩ শিক্ষার্থী ঘটনার পরদিন ৬ মে প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। এরপর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হলে তারা এর সত্যতা পায়।

ঘটনার দিন গত(৫মে) ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আইসিটি ক্লাস ছিল। মাইদুল ইসলাম নামের ওই শিক্ষক ক্লাসে গিয়ে ছাত্রীদের গায়ে পিঠে হাত দেয় বলে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের বলে। এনিয়ে অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষকের এমন আচারণ দীর্ঘ দিনের। এমন হলে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো দায় হয়ে উঠবে। এজন্য ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করেন।

এদিকে স্কুল থেকে গঠন করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি শিক্ষক মাইদুল ইসলামের এমন আচারণের সত্যতা পান। তিনি যে ছাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হাত দেন একথার প্রমাণ পেয়েছে বলে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

এনিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাইদুল ইসলাম প্রথমে পুরো বিষয়টি অস্বীকার করলে পরবর্তীতে নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন মু‌ঠো‌ফো‌নে। তিনি বলেন, মূলত স্কুলের কিছু ভিতরগত রাজনৈতিক বিষয়ে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস এম ফখরুজ্জামনা বলেন, ছাত্রীদের  যৌন হয়রানীর অভিযোগে গেল (৯মে) স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভা ডেকে তাকে পুরোপুরি বরখাস্ত করা হয়েছে। আর ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল জানান, তারা এতেই ক্ষ‌্যান্ত থাকবেন না, দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

চুক্তি ভিত্তিক এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও স্কুলে কোচিং করানো নিয়ে ছাত্রীদের হয়রানীর অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।