১০:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালে কোরবানিযোগ্য পশু সাড়ে ৪ লাখ

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১০:০৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪
  • / ২৩৪ বার পড়া হয়েছে

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশাল বিভাগের খামারিরা। অনেক খামারির পশু এরইমধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে।

অনেকে হাট শুরুর অপেক্ষা করছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার কোনো সংকট ছাড়াই স্থানীয়ভাবে কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ হবে।

জানা গেছে, বরিশালের খামারগুলোয় বছরজুড়ে বিভিন্ন জাতের গরু লালন পালন হয়। তবে বেশি দামে বিক্রির টার্গেট থাকে কোরবানি ঈদ ঘিরে।

তাই কোরবানি সামনে রেখে এখন খামারগুলোয় বিক্রয়যোগ্য পশুর যত্ন নেওয়া হচ্ছে। যেখানে দেশি গরুর পাশাপাশি সাহিওয়াল, দেশাল, আরসিসি, নেপাল, ফিজিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান ও পাকিস্তানি সাহিয়াল জাতের গরু রয়েছে।

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, এ বছর বিভাগের ছয় জেলায় ২৬ হাজার ৫৭৮ জন খামারি কোরবানিযোগ্য ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫৪ পশু লালন পালন করেছেন। আর বিভাগে এবারের কোরবানিতে মোট পশুর চাহিদা ৪ লাখ ৩২ হাজার ৬১১টি।

খামারিরা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বাড়ার প্রভাব পড়বে কোরবানির পশুর দামে। খামারে লাইভ ওয়েট মেশিনে বিক্রি করা পশুর দামও কেজি প্রতি বাড়ানো হয়েছে ৫০ টাকা। হাটের চেয়ে খামারে লালনপালন করা পশু ঝুঁকি মুক্ত জানিয়ে এমন বাস্তবতা ক্রেতারাও মেনে নিয়েছেন।

বরিশালের এমইপি অ্যাগ্রো ফার্মের ইনচার্জ মো. রাফিউর রহমান জানিয়েছেন, ভারতীয় গরু না এলে কোরবানির বাজার স্থানীয় গরুর দখলে থাকবে।

উল্লেখ্য, এ বছর বিভাগের ছয় জেলায় ৩২৮টি কোরবানির পশুর হাট বসবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ১৩৬টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম হাটগুলোয় কোরবানিযোগ্য পশুর সুস্থতা পরীক্ষা করবে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলী আশরাফ ভূঞা জানিয়েছেন, পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিগত দিনের মতো পুলিশ সদস্যরা তৎপর থাকবে।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

বরিশালে কোরবানিযোগ্য পশু সাড়ে ৪ লাখ

আপডেট সময় : ১০:০৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশাল বিভাগের খামারিরা। অনেক খামারির পশু এরইমধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে।

অনেকে হাট শুরুর অপেক্ষা করছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার কোনো সংকট ছাড়াই স্থানীয়ভাবে কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ হবে।

জানা গেছে, বরিশালের খামারগুলোয় বছরজুড়ে বিভিন্ন জাতের গরু লালন পালন হয়। তবে বেশি দামে বিক্রির টার্গেট থাকে কোরবানি ঈদ ঘিরে।

তাই কোরবানি সামনে রেখে এখন খামারগুলোয় বিক্রয়যোগ্য পশুর যত্ন নেওয়া হচ্ছে। যেখানে দেশি গরুর পাশাপাশি সাহিওয়াল, দেশাল, আরসিসি, নেপাল, ফিজিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান ও পাকিস্তানি সাহিয়াল জাতের গরু রয়েছে।

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, এ বছর বিভাগের ছয় জেলায় ২৬ হাজার ৫৭৮ জন খামারি কোরবানিযোগ্য ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫৪ পশু লালন পালন করেছেন। আর বিভাগে এবারের কোরবানিতে মোট পশুর চাহিদা ৪ লাখ ৩২ হাজার ৬১১টি।

খামারিরা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বাড়ার প্রভাব পড়বে কোরবানির পশুর দামে। খামারে লাইভ ওয়েট মেশিনে বিক্রি করা পশুর দামও কেজি প্রতি বাড়ানো হয়েছে ৫০ টাকা। হাটের চেয়ে খামারে লালনপালন করা পশু ঝুঁকি মুক্ত জানিয়ে এমন বাস্তবতা ক্রেতারাও মেনে নিয়েছেন।

বরিশালের এমইপি অ্যাগ্রো ফার্মের ইনচার্জ মো. রাফিউর রহমান জানিয়েছেন, ভারতীয় গরু না এলে কোরবানির বাজার স্থানীয় গরুর দখলে থাকবে।

উল্লেখ্য, এ বছর বিভাগের ছয় জেলায় ৩২৮টি কোরবানির পশুর হাট বসবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ১৩৬টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম হাটগুলোয় কোরবানিযোগ্য পশুর সুস্থতা পরীক্ষা করবে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলী আশরাফ ভূঞা জানিয়েছেন, পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিগত দিনের মতো পুলিশ সদস্যরা তৎপর থাকবে।