০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালে আবারও অবৈধ স্থাপনা হিড়িক !

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৭:৪১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২১৭ বার পড়া হয়েছে

উচ্ছেদের বছর পেরোতে না পেরোতেই বরিশালে আবারও রাস্তার পাশের জমিতে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এতে যানজটের ভোগান্তিও বেড়েছে শহরে। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এসব জমি ফের দখলদারদের হাতে চলে গেছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।

যানজটের ভোগান্তি কমাতে গত বছরের অক্টোবরে বরিশাল নগরীর সাগরদী, রুপাতলী ও দপদপিয়া এলাকায় রাস্তার পাশের সাত শর মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন। উদ্ধার হয় প্রায় ৩০ একর জমি। তবে বছর না গড়াতেই বেশির ভাগ জমিতে আবার গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। সঙ্গে ফিরেছে যানজটের ভোগান্তিও। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় উচ্ছেদের কিছুদিনের মধ্যেই সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয় অবৈধ স্থাপনা।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ট্রাফিক বিভাগের মূল কাজ হলো জানজট নিরসন। অথচ রাস্তার পাশের অবৈধ স্থাপনার জন্য যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বাস ড্রাইভার যারা আছে তারা সময় মেনে চলতে পারছে না। গাড়ি নিয়ে সামনে এগোনোর কোনো উপায় থাকে না। উচ্ছেদের পর পরই আবার দখল হয়ে যায় রাস্তার পাশের জমি।

এ প্রসঙ্গে বরিশাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন বলেন, ‘আমরা বাস মালিক সমিতি থেকে বার বার উচ্ছেদের ব্যবস্থা করি। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলর ও প্রভাবশালীদের লোকজন উচ্ছেদ হওয়া জমি আবার দখল করে নেয়।

এরা এসব দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। আড় বিপদে পড়তে হয় আমাদের ও যাত্রীদের। যাত্রীদের সেবা দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না।’ উচ্ছেদ পরবর্তী জমি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সড়ক বিভাগের, বলছে জেলা প্রশাসন। আর সড়ক বিভাগ বলছে, সবার সহযোগিতা ছাড়া অবৈধ দখলদারদের ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।

বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জানান, সরকারি যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা বিভাগের জমি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধারে জেলা প্রশাসন সব সহযোগিতা করবে। তবে যাদের জমি উদ্ধার করে দেওয়া হয় তাদেরকেও পরবর্তী করণীয়গুলো করতে হবে যাতে পুনরায় জমি অবৈধ দখলে না যায়।

এ বিষয়ে বরিশাল সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান বলেন, ‘বরিশালের ১৬ শ কিলোমিটার সড়ক একা আমাদের পক্ষে তদারকি সম্ভব নয়। এর জন্য সবার সহায়তা দরকার। তবে উচ্ছেদের পর আবার দখলের নেপথ্যে সড়ক বিভাগের কেউ জড়িত আছে প্রমাণ হলে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

বরিশালে আবারও অবৈধ স্থাপনা হিড়িক !

আপডেট সময় : ০৭:৪১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

উচ্ছেদের বছর পেরোতে না পেরোতেই বরিশালে আবারও রাস্তার পাশের জমিতে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এতে যানজটের ভোগান্তিও বেড়েছে শহরে। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এসব জমি ফের দখলদারদের হাতে চলে গেছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।

যানজটের ভোগান্তি কমাতে গত বছরের অক্টোবরে বরিশাল নগরীর সাগরদী, রুপাতলী ও দপদপিয়া এলাকায় রাস্তার পাশের সাত শর মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন। উদ্ধার হয় প্রায় ৩০ একর জমি। তবে বছর না গড়াতেই বেশির ভাগ জমিতে আবার গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। সঙ্গে ফিরেছে যানজটের ভোগান্তিও। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় উচ্ছেদের কিছুদিনের মধ্যেই সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয় অবৈধ স্থাপনা।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ট্রাফিক বিভাগের মূল কাজ হলো জানজট নিরসন। অথচ রাস্তার পাশের অবৈধ স্থাপনার জন্য যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বাস ড্রাইভার যারা আছে তারা সময় মেনে চলতে পারছে না। গাড়ি নিয়ে সামনে এগোনোর কোনো উপায় থাকে না। উচ্ছেদের পর পরই আবার দখল হয়ে যায় রাস্তার পাশের জমি।

এ প্রসঙ্গে বরিশাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন বলেন, ‘আমরা বাস মালিক সমিতি থেকে বার বার উচ্ছেদের ব্যবস্থা করি। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলর ও প্রভাবশালীদের লোকজন উচ্ছেদ হওয়া জমি আবার দখল করে নেয়।

এরা এসব দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। আড় বিপদে পড়তে হয় আমাদের ও যাত্রীদের। যাত্রীদের সেবা দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না।’ উচ্ছেদ পরবর্তী জমি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সড়ক বিভাগের, বলছে জেলা প্রশাসন। আর সড়ক বিভাগ বলছে, সবার সহযোগিতা ছাড়া অবৈধ দখলদারদের ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।

বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জানান, সরকারি যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা বিভাগের জমি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধারে জেলা প্রশাসন সব সহযোগিতা করবে। তবে যাদের জমি উদ্ধার করে দেওয়া হয় তাদেরকেও পরবর্তী করণীয়গুলো করতে হবে যাতে পুনরায় জমি অবৈধ দখলে না যায়।

এ বিষয়ে বরিশাল সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান বলেন, ‘বরিশালের ১৬ শ কিলোমিটার সড়ক একা আমাদের পক্ষে তদারকি সম্ভব নয়। এর জন্য সবার সহায়তা দরকার। তবে উচ্ছেদের পর আবার দখলের নেপথ্যে সড়ক বিভাগের কেউ জড়িত আছে প্রমাণ হলে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’