০৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের দৃশ্যমান শাস্তির দাবি

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৭:২৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • / ২০৩ বার পড়া হয়েছে

বরিশালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত শেষে দায়ীদের দৃশ্যমান সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে রবিবার দুপুরে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি হয়।

এসময় বক্তারা প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল গঠন এবং নিপীড়ন বিরোধী সংস্কৃতি নিশ্চিতের দাবি জানান।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজয় শুভ’র সভাপতিত্বে ও জেলা শাখার সংগঠক হুজাইফা রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশ হয়েছে।

এসময় বক্তৃতা দেন- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ববি শাখার সদস্য অনিকা সিথি, ভূমিকা সরকার ও মৃত্যুঞ্জয় রায়, বরিশাল জেলা শাখার সংগঠক রাকিব মাহমুদ প্রমুখ। এসময় সংহতি জানিয়ে বক্তৃতা দেন অ্যাক্টিভিস্ট কাজল দাস।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানবিক মানুষ তৈরি করা। সেখানে শিক্ষার্থীরাই যদি নিপীড়নের স্বীকার হয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয় তাহলে বুঝতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। কাউকে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের যোগসাজশে নিপীড়নের স্বীকার হয়ে জীবন দিতে হয়েছে। তাই এ খুনের দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এড়াতে পারে না কোনোভাবেই।

বক্তারা আরও বলেন, এর আগেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্বারা নানাভাবে শিক্ষার্থী হেনস্থার ঘটনার আমরা জেনেছি। ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রকাঠামো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মত ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান নিপীড়কের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। দলদাস নতজানু জবি প্রশাসন নানা সময়ে অভিযুক্তের পক্ষে দাঁড়ায়েছে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীনের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার কারণে। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি নিপীড়কদেরকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। অনতিবিলম্বে এই খুনের সাথে জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করতে হবে, অন্যথায় শিক্ষার্থীরা হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবে না।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

বরিশালে অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের দৃশ্যমান শাস্তির দাবি

আপডেট সময় : ০৭:২৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

বরিশালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত শেষে দায়ীদের দৃশ্যমান সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে রবিবার দুপুরে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি হয়।

এসময় বক্তারা প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল গঠন এবং নিপীড়ন বিরোধী সংস্কৃতি নিশ্চিতের দাবি জানান।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজয় শুভ’র সভাপতিত্বে ও জেলা শাখার সংগঠক হুজাইফা রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশ হয়েছে।

এসময় বক্তৃতা দেন- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ববি শাখার সদস্য অনিকা সিথি, ভূমিকা সরকার ও মৃত্যুঞ্জয় রায়, বরিশাল জেলা শাখার সংগঠক রাকিব মাহমুদ প্রমুখ। এসময় সংহতি জানিয়ে বক্তৃতা দেন অ্যাক্টিভিস্ট কাজল দাস।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানবিক মানুষ তৈরি করা। সেখানে শিক্ষার্থীরাই যদি নিপীড়নের স্বীকার হয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয় তাহলে বুঝতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। কাউকে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের যোগসাজশে নিপীড়নের স্বীকার হয়ে জীবন দিতে হয়েছে। তাই এ খুনের দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এড়াতে পারে না কোনোভাবেই।

বক্তারা আরও বলেন, এর আগেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্বারা নানাভাবে শিক্ষার্থী হেনস্থার ঘটনার আমরা জেনেছি। ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রকাঠামো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মত ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান নিপীড়কের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। দলদাস নতজানু জবি প্রশাসন নানা সময়ে অভিযুক্তের পক্ষে দাঁড়ায়েছে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীনের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার কারণে। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি নিপীড়কদেরকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। অনতিবিলম্বে এই খুনের সাথে জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করতে হবে, অন্যথায় শিক্ষার্থীরা হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবে না।