০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৪৮ বার পড়া হয়েছে

বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা বাজারে সুন্দরবন হসপিটাল এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার নামের একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে সোমবার দিবাগত রাতে মেঘলা (১৯) নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার কারণেই মারা গেছেন মেঘলা।

এই ঘটনায় মেঘলার বাবা ছগির হোসেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সবুজ কুমার দাস, হসপিটালের মালিক ডৌয়াতলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বামনা থানায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকে চিকিৎসক সবুজসহ হাসপাতালের অন্যরা পলাতক রয়েছে।

সোমবার বিকালে উত্তর রামনার গার্মেন্টস শ্রমিক আরিফের স্ত্রী মেঘলাকে সুন্দরবন হসপিটাল এন্ড ডায়গনিস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। রাত ১১টার দিকে ওটিতে অপারেশন করার জন্য অজ্ঞান করার পর আর জ্ঞান ফিরে আসেনি। রাতেই ডাক্তার সবুজ কুমার কুমার দাস হাসপাতাল থেকে সরে যান।

অভিযোগ পেয়ে বামনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতাল সিলগালা করেন।

সিভিল সার্জন ডা. ফজলুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অনলাইনে আবেদন করা হলেও এই হাসপাতালের নিবন্ধন এখনো হয়নি। অনুমোদনবিহীন হাসপাতাল করার কোন সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে হাসপাতালের নথিপত্রে এবং অনলাইনে তল্লাশী করে ডাঃ সবুজ কুমার দাসের কোন রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পাওয়া না যাওয়ায় তার সনদ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪

বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা বাজারে সুন্দরবন হসপিটাল এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার নামের একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে সোমবার দিবাগত রাতে মেঘলা (১৯) নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার কারণেই মারা গেছেন মেঘলা।

এই ঘটনায় মেঘলার বাবা ছগির হোসেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সবুজ কুমার দাস, হসপিটালের মালিক ডৌয়াতলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বামনা থানায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকে চিকিৎসক সবুজসহ হাসপাতালের অন্যরা পলাতক রয়েছে।

সোমবার বিকালে উত্তর রামনার গার্মেন্টস শ্রমিক আরিফের স্ত্রী মেঘলাকে সুন্দরবন হসপিটাল এন্ড ডায়গনিস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। রাত ১১টার দিকে ওটিতে অপারেশন করার জন্য অজ্ঞান করার পর আর জ্ঞান ফিরে আসেনি। রাতেই ডাক্তার সবুজ কুমার কুমার দাস হাসপাতাল থেকে সরে যান।

অভিযোগ পেয়ে বামনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতাল সিলগালা করেন।

সিভিল সার্জন ডা. ফজলুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অনলাইনে আবেদন করা হলেও এই হাসপাতালের নিবন্ধন এখনো হয়নি। অনুমোদনবিহীন হাসপাতাল করার কোন সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে হাসপাতালের নথিপত্রে এবং অনলাইনে তল্লাশী করে ডাঃ সবুজ কুমার দাসের কোন রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পাওয়া না যাওয়ায় তার সনদ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।