০৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর‌ই চাষ করে স্বাবলম্বী হতে চায় স্বরূপকাঠির নূপুর আক্তার

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ২১৫ বার পড়া হয়েছে

উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়ন এর একতা বাজার সংলগ্ন হাওলাদার বাড়ির বর‌ই চাষ করে স্বাবলম্বী হতে চান নূপুর আক্তার। তিনি এ বছর ২ বিঘা ৪ কাঠা জায়গায় বর‌ই চাষ করেন। যশোর থেকে বর‌ই চারা সংগ্রহ করে জমিতে ২ লক্ষ টাকা খরচ করে বর‌ই চারা রোপণ করেন।

প্রাথমিক অবস্থায় ফলন কম হলেও আগামী বছরে ভালো ফলনের আশা করেন নূপুর আক্তার। তিনি বলেন, এ বছর লাভের পরিমাণ কম তবে আগামী বছর ফলন ভালো হলে লাভের পরিমাণ ভালো হবে এবং আমি আমার এই বর‌ই বাগানে শ্রমজীবী মানুষ নিয়োগ দিয়ে এলাকার বেকারত্ব দূর করতে পারবো। বর্তমানে এই বাগানে আমি আমার ছেলে ও তার বন্ধু এই বাগান পরিচর্যা করি।

এখানে নতুন জাতের বলসুন্দরী, বারো সুন্দরী, কুল বরই চাষ সহ মালটা ও নারিকেল চারা রোপণ করি।

বাগান দেখতে গিয়ে কথা হয় নূপুর আক্তার এর সাথে। এসময় আলাপকালে তিনি যায়যায়দিন কে বলেন, আমার স্বামী পুলিশে চাকরি করতেন। তিনি মারা যাওয়ার পর এই জমি কিনে বাঁচার জন্য বর‌ই চাষের উদ্যোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে শুরু করি এই জমিতে বর‌ই চাষ। জমির উর্বরতা ভালো দেখে পাশাপাশি ফল চাষের আগ্রহ সৃষ্টি হয় আমার। ২০২১ সালে নিজের আয় এবং আমার স্বামীর টাকা থেকে এক বিঘা জমি ক্রয় করি। গত বছর জুন মাসে যশোর থেকে নতুন জাতের বর‌ই চারা এনে রোপণ করি। আমার বাগানে সাত মাসেই ফলন ধরেছে।

এক বিঘা জমিতে ২০০ গাছের চারা রোপণ করি। মোট খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। সাত মাসেই ফল এসেছে। প্রতি গাছে ৩ কেজি থেকে প্রায় দশ কেজি পর্যন্ত বরই ধরেছে। এ বছরে তেমন লাভ না হলেও আগামী বছরে ভালো লাভের আশা করি।

প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা পাইকারি কেজি ধরে এখান থেকে ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে বরই নিয়ে যায়। তারাও লাভবান হচ্ছে আমিও লাভবান হবো। একজন কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে কৃষি কাজ করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তোলাই বর্তমানে আমার চ্যালেঞ্জ।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার চপল কৃষ্ণ নাথ বলেন, নেছরাবাদ উপজেলায় বর‌ই চাষি অত্যন্ত কম। এবছর ৬ হেক্টর জমিতে বল সুন্দরী বর‌ই চাষ বেশি হলেও আপেল কুল, বৌ সুন্দরী চাষ কম হয়েছে। গাছ প্রতি এবারে ৩০ থেকে ৬০ কেজি করে পর্যন্ত ফলন ধরেছে। কৃষকদের বর‌ই চাষে উদ্বুদ্ধ করার জন্য মাঠ পর্যায়ে সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ট্যাগস :

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

বর‌ই চাষ করে স্বাবলম্বী হতে চায় স্বরূপকাঠির নূপুর আক্তার

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়ন এর একতা বাজার সংলগ্ন হাওলাদার বাড়ির বর‌ই চাষ করে স্বাবলম্বী হতে চান নূপুর আক্তার। তিনি এ বছর ২ বিঘা ৪ কাঠা জায়গায় বর‌ই চাষ করেন। যশোর থেকে বর‌ই চারা সংগ্রহ করে জমিতে ২ লক্ষ টাকা খরচ করে বর‌ই চারা রোপণ করেন।

প্রাথমিক অবস্থায় ফলন কম হলেও আগামী বছরে ভালো ফলনের আশা করেন নূপুর আক্তার। তিনি বলেন, এ বছর লাভের পরিমাণ কম তবে আগামী বছর ফলন ভালো হলে লাভের পরিমাণ ভালো হবে এবং আমি আমার এই বর‌ই বাগানে শ্রমজীবী মানুষ নিয়োগ দিয়ে এলাকার বেকারত্ব দূর করতে পারবো। বর্তমানে এই বাগানে আমি আমার ছেলে ও তার বন্ধু এই বাগান পরিচর্যা করি।

এখানে নতুন জাতের বলসুন্দরী, বারো সুন্দরী, কুল বরই চাষ সহ মালটা ও নারিকেল চারা রোপণ করি।

বাগান দেখতে গিয়ে কথা হয় নূপুর আক্তার এর সাথে। এসময় আলাপকালে তিনি যায়যায়দিন কে বলেন, আমার স্বামী পুলিশে চাকরি করতেন। তিনি মারা যাওয়ার পর এই জমি কিনে বাঁচার জন্য বর‌ই চাষের উদ্যোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে শুরু করি এই জমিতে বর‌ই চাষ। জমির উর্বরতা ভালো দেখে পাশাপাশি ফল চাষের আগ্রহ সৃষ্টি হয় আমার। ২০২১ সালে নিজের আয় এবং আমার স্বামীর টাকা থেকে এক বিঘা জমি ক্রয় করি। গত বছর জুন মাসে যশোর থেকে নতুন জাতের বর‌ই চারা এনে রোপণ করি। আমার বাগানে সাত মাসেই ফলন ধরেছে।

এক বিঘা জমিতে ২০০ গাছের চারা রোপণ করি। মোট খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। সাত মাসেই ফল এসেছে। প্রতি গাছে ৩ কেজি থেকে প্রায় দশ কেজি পর্যন্ত বরই ধরেছে। এ বছরে তেমন লাভ না হলেও আগামী বছরে ভালো লাভের আশা করি।

প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা পাইকারি কেজি ধরে এখান থেকে ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে বরই নিয়ে যায়। তারাও লাভবান হচ্ছে আমিও লাভবান হবো। একজন কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে কৃষি কাজ করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তোলাই বর্তমানে আমার চ্যালেঞ্জ।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার চপল কৃষ্ণ নাথ বলেন, নেছরাবাদ উপজেলায় বর‌ই চাষি অত্যন্ত কম। এবছর ৬ হেক্টর জমিতে বল সুন্দরী বর‌ই চাষ বেশি হলেও আপেল কুল, বৌ সুন্দরী চাষ কম হয়েছে। গাছ প্রতি এবারে ৩০ থেকে ৬০ কেজি করে পর্যন্ত ফলন ধরেছে। কৃষকদের বর‌ই চাষে উদ্বুদ্ধ করার জন্য মাঠ পর্যায়ে সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।