০৩:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চিরকুট লিখে শিক্ষকের আত্মহত্যা

বরিশাল সংবাদ বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৪:০৬:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৮৪ বার পড়া হয়েছে
বরগুনার আমতলীতে চিরকুট লিখে নজরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষকের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী গ্রামের ছোবাহান বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

শিক্ষকের ওই চিরকুটে লেখা ছিল ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’।

এ ঘটনার পর স্ত্রী খাজিদা বেগম গা-ঢাকা দিয়েছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর পূর্বে উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের খালেক খাঁনের ছেলে নজরুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের দুলাল ভুঁইয়ার মেয়ে খাজিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল বলে দাবি করে নিহতের পরিবার। তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। পরদিন সকালে খাদিজা তার ভাসুর ফেরদৌস খাঁনকে মারধরের কথা বলে বাবার বাড়ি চলে যান। পরে সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়রা একটি আম গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় নজরুল ইসলামকে দেখে পুলিশকে খবর দেন। এ সময় পুলিশ তার সঙ্গে ওই চিরকুটটি পান।
নিহতের বড় ভাই ফোরদৌস খাঁন বলেন, ‘আমার ভাইকে তার স্ত্রী বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। তার নির্যাতন সইতে না পেরে আমার ভাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীর বিচার চাই।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Add

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Barisal Sangbad

বরিশাল সংবাদের বার্তা কক্ষে আপনাকে স্বাগতম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চিরকুট লিখে শিক্ষকের আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৪:০৬:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বরগুনার আমতলীতে চিরকুট লিখে নজরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষকের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী গ্রামের ছোবাহান বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

শিক্ষকের ওই চিরকুটে লেখা ছিল ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’।

এ ঘটনার পর স্ত্রী খাজিদা বেগম গা-ঢাকা দিয়েছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর পূর্বে উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের খালেক খাঁনের ছেলে নজরুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের দুলাল ভুঁইয়ার মেয়ে খাজিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল বলে দাবি করে নিহতের পরিবার। তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। পরদিন সকালে খাদিজা তার ভাসুর ফেরদৌস খাঁনকে মারধরের কথা বলে বাবার বাড়ি চলে যান। পরে সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়রা একটি আম গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় নজরুল ইসলামকে দেখে পুলিশকে খবর দেন। এ সময় পুলিশ তার সঙ্গে ওই চিরকুটটি পান।
নিহতের বড় ভাই ফোরদৌস খাঁন বলেন, ‘আমার ভাইকে তার স্ত্রী বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। তার নির্যাতন সইতে না পেরে আমার ভাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীর বিচার চাই।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।