পাথরঘাটায় কুকুরের কামড়ে আহত ৪

- আপডেট সময় : ০৪:২৮:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
- / ১১৬ বার পড়া হয়েছে

বরগুনার পাথরঘাটায় বেল্লাল হোসেন নামের এক ব্যক্তির পালিত পাগলা কুকুরের কামড়ে চারজন আহত হাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরলাঠিমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন একই এলাকার আব্দল হালিম হাওলাদারের ছেলে ঈসা (৩০), মো: আজাহার হাওলাদারের ছেলে আব্দুল মান্নান (৭০), মোসলেম আলীর ছেলে সুমন (১৮) এবং আদম আলীর ছেলে শাহ জাহান (৫০)। তাদের মধ্যে শাহ জাহানের হাতের একটি আঙুল কামড়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।
আহত ঈসা জানান, ‘পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের হরিণঘাটা বাজারে সকাল ৭টার দিকে তারা সবাই আসেন। এর কিছুক্ষণ পরেই চলারলাঠিমারা এলাকার বেলাল হোসেনের পালিত চারটি কুকুর হঠাৎ বাজারের মধ্যে প্রবেশ করে ঈসা, মান্নান, সুমন ও শাজাহানের ওপর আক্রমণ করে। এ সময় শাহজাহানের হাতের একটি আঙ্গুল কুকুরে কামড়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। স্থানীয় লোকজনে ওই পাগলা কুকুরের হাত থেকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে চিকিৎসা দেয়।
আহতরা আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেলাল হোসেন ওই কুকুরগুলো পালন করছেন। এই কুকুর মানুষের গরু, ছাগলসহ গৃহপালিত পশু পাখিকে আক্রমণ করে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এমনকি হরিণঘাটা বনের মধ্যে ঢুকে হরিণের ওপর আক্রমণ করে মেরে ফেলে। এ নিয়ে কুকুরের মালিক বেলালের কাছে জানালে তিনি উল্টা ধমক দেন।
বেলালের বড় ভাই হিরু দফাদার জানান, তার ছোট ভাই বেলালের পালিত চারটি কুকুর হরিণঘাটা বাজারে মধ্যে এসে চারজনকে কামড়ে আহত করেছে। তারদের মধ্যে একজনের হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। বিষয়টি বেল্লালকে জানালে সে উল্টা অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন।
বিষয়টি নিয়ে বেল্লাল হোসেনের মোবাইলফোনে কল দিলে রিসিভ করে জানান, ফোনের কাছে বেলাল নেই।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মো: মাসুদ রানা জানান, পাথরঘাটায় প্রতিদিনই চার থেকে পাঁচজন লোক কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন। সরকার থেকে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয় তাতে সকল রোগীকে ভ্যাক্সিন দেয়া সম্ভব হয় না। অন্য উপজেলার চেয়ে পাথরঘাটায় কুকুরের কামড়ে আহত বেশি হয়। সরকারের পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ পাথরঘাটা উপজেলায় ভ্যাকসিনের পরিমাণটা বেশি সরবরাহ করা। তাছাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর থেকেও যদি কুকুরদের ধরে ভ্যাকসিন দেয়া হয় তাহলে আক্রমণ হলেও বড় ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারে।